• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
পাইকগাছার বয়ারঝাপা গ্রামের ৪ পরিবারের মানবেতর জীবন যাপন

পাইকগাছার পার বয়ারঝাপা গ্রামের বিধবা আমেনা বিবি, আনোয়ারা বেগম,খোদেজা বেগম ও দিনমুজুর ইকরামুল গাজীর বসতবাড়ী

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

পাইকগাছার বয়ারঝাপা গ্রামের ৪ পরিবারের মানবেতর জীবন যাপন

  • পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৬ মে ২০১৯

পাইকগাছার সোলাদানা ইউনিয়নের পারবয়ারঝাপা গ্রামের ৪টি দরিদ্র ও অসহায় পরিবার দীর্ঘদিন মানবেতর জীবন যাপন করছে। পরিবার গুলোর বসতভিটা ছাড়া বাড়তি কোন জায়গা জমি নাই। মাথা গোজার ঠাই হিসাবে যে বসত ঘর ছিল তাও কেড়ে নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ফনি। বর্তমানে ৪টি পরিবার অসহায়ের মত মানবিক জীবন যাপন করছে। পরিবার গুলোর দুঃখ-কষ্ট দূর করার জন্য সরকারি বাড়ি সহ অন্যান্য সহযোগিতা প্রয়োজন।

প্রাপ্ত সূত্রমতে, উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের পারবয়ারঝাপা গ্রামের রাস্তার পাশে ৮ কাঠা জমির উপর বসবাস করছে বিধবা আমেনা বিবি (৬৫) ও তার বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা অসহায় দুই কন্যা। প্রায় ২০ বছর আগে মারা যান আমেনা বিবির স্বামী মাহাতাব উদ্দীন গাজী। ১০ বছর আগে মারা যান মেয়ে আনোয়ারা বেগমের স্বামী মালেক শেখ। আর ১০ বছর আগে আরেক মেয়ে খদেজা বেগমের স্বামী সিরাজুল মোল্ল্যা স্ত্রীকে ফেলে রেখে চলে যান। পরিবারে আয় রোজগারের কোন অভিভাবক না থাকায় ৩ অসহায় নারী দীর্ঘদিন মানবেতর জীবন যাপন করছে। পথিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় ফনির আঘাতে উড়ে নিয়ে যায় বিধবা আমেনা বিবি’র বসতঘর। পোনা ধরে ও দিন মজুরের কাজ করে সংসার চালানোই যেখানে দ্বায় সেখানে ঘর মেরামত করা কঠিন হয়ে পড়েছে অসহায় পরিবারটির। অনুরূপভাবে একই এলাকার মৃত বারেক গাজীর দিন মজুর ছেলে ইকরামুল গাজীর একমাত্র বসতবাড়ীটি ঘূর্ণিঝড় ফনির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় গৃহহীন হয়ে পড়েছে দিন মজুর ইকরামুল গাজী। বিধবা আমেনা বিবি জানান, এমনিতেই আমাদের সংসার চলে না, বাড়ীতে একজনও পুরুষ মানুষ নাই। অথচ সরকারিভাবে কত সাহায্য দেওয়া হয়। যার কোন কিছুই আমরা পায় না। বিধবা আনোয়ারা বেগম জানান, আমাদের সরকারিভাবে বাড়ী তৈরী করে দেওয়া হলে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়নার নিকট কৃতজ্ঞ থাকতাম।

ইউপি সদস্য আনিস সানা জানান, এই পরিবারে কোন পুরুষ অভিভাবক নাই। এ জন্য এরা সময়মত সরকারি নিয়মানুয়ায়ী অনলাইনে আবেদন করতে হয়, যা তারা করতে পারেনি। তবে পরিবারের বিধবা আমেনা বেগমের অনেক বছর আগে থেকেই বয়স্ক ভাতা পাওয়ার কথা। কিন্তু কেন তিনি পান না এটা আমারও প্রশ্ন। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি পরিষদে আলোচনা করা হবে বলে ইউপি সদস্য জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়না জানান, এ ধরণের কয়েকটি পরিবারের কথা জেলা পরিষদ সদস্য আমাকে জানিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসহায় পরিবারগুলোর পুনর্বাসন সহ সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে বলে জেলা পরিষদ সদস্যকে জানিয়েছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads