• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ভাতিজার লাঠির আঘাতে চাচার মৃত্যু

গ্রেফতারকৃত আমজাদ মীর মালত (৪৭) ও তার ছেলে রাসেল মীর মালত (২১)। 

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

জমি নিয়ে বিরোধ

ভাতিজার লাঠির আঘাতে চাচার মৃত্যু

  • গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৫ মে ২০১৯

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বাড়ীর সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার হাতে চাচার নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

উপজেলা ছোটভাকলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ভাগলপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

শনিবার দুপুরে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা হলে পুলিশ অভিযুক্ত ভাতিজা ও তার ছেলেকে গ্রেফতার করে।

নিহতের নাম ইব্রাহিম মীর মালত (৬৫)।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন আমজাদ মীর মালত (৪৭) ও তার ছেলে রাসেল মীর মালত (২১)। 

সরেজমিন জানা যায়, নিহত ইব্রাহিম মীর মালত ও ভাতিজা আমজাদ মীর মালতের পাশাপাশি বাড়ী। বাড়ীর সীমানা নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। গত ২৩ মে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সঠিকভাবে সীমানা মাপ-ঝোক না করেই আমজাদ মীর মালত বাঁশের বেড়া দিচ্ছিলেন। বেড়াটির কারণে চাচা ইব্রাহিম মীর মালতসহ কয়েকটি পরিবারের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ নিয়ে ইব্রাহিম মীর মালত আপত্তি জানালে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে আমজাদ মীর মালত তার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে চাচা ইব্রাহিম মীর মালতকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে তিনি পড়ে গিয়ে কোমরে ও মাথায় আঘাত পান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোর ৪টার দিকে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে রজব মীর মালত বাদী হয়ে শনিবার দুপুরে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামী আমজাদ মীর মালত ও তার ছেলে রাসেল মীর মালতকে গ্রেফতার করে এবং লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ীর মর্গে পাঠিয়েছে।

এ ব্যাপারে নিহতের ছোট ছেলে মাজেদ মীর মালত ভাতিজা জাহিদুল ইসলাম, ভাতীজি আলেয়া বেগমসহ স্থানীয়রা জানান, আমজাদ জোরপূর্বক সীমানার অধিকাংশ জায়গা দখল করে বাঁশের বেড়া দিচ্ছিল। এ ছাড়া সেখানে মাটি দিয়ে উঁচু বাঁধ তৈরী করেন সে। এতেকরে চলাচল বন্ধ হওয়া ছাড়াও বৃষ্টির পানি আটকে অপর দিকে খুবই অসুবিধার সৃষ্টি হয়। এর প্রতিবাদ করাতে তারা হামলার ঘটনা ঘটায়।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি এজাজ শফি জানান, এ বিষয়ে নিহতে বড় ছেলে রজব মীর মালত বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। আমরা অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছি। এছাড়া লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের রাজবাড়ীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads