• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
নাঙ্গলকোটে স্বামী পরিত্যাক্তার রহস্যজনক মৃত্যু

নাঙ্গলকোটে স্বামী পরিত্যাক্তার রহস্যজনক মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

সারা দেশ

নাঙ্গলকোটে স্বামী পরিত্যাক্তার রহস্যজনক মৃত্যু

  • মো. দুলাল মিয়া, নাঙ্গলকোট (কুমিলা)
  • প্রকাশিত ২৬ মে ২০১৯

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে নিখোঁজের একদিন পর স্বামী পরিত্যাক্তা মারজাহান বেগম টুনি (৫০) নামের এক মহিলার লাশ গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে।

আজ রোববার নাঙ্গলকোট পৌরসভার বেতাগাঁও পূর্বপাড়া নুরু খলিপার বাড়ির পূর্ব দক্ষিণ পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

সে উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের মক্রবপুর শহীদ কাজী বাড়ির মৃত হাফেজ শহীদুল্লার মেয়ে। তার এক মেয়ে এবং এক ছেলে রয়েছে। গত শনিবার ভোর বেলা বাড়ি থেকে সে নিখোঁজ হয়। তার গাছে উঠে নিজের ওড়না দিয়ে ফাঁস দেয়া নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মক্রবপুর গ্রামের শহীদ কাজী বাড়ির মৃত হাফেজ শহীদুল্লার মেয়ে মারজাহান টুনির দুটি বিয়ে হয়। প্রথম বিয়ে হয় পাশবর্তী লাকসামের শাহপুর গ্রামে। এখানে তার সালমা আক্তার নামে এক মেয়ে রয়েছে। পরে রংপুরের নুরুল ইসলাম নামে একজনের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর সন্তান গর্ভে আসলে তার স্বামী চলে যায়। এ সংসারে আশিক (১৪) নামে এক ছেলে রয়েছে। সে চট্রগ্রামে হোটেল বয় হিসেবে কাজ করে। দীর্ঘদিন থেকে মারজাহান তার বাপের বাড়িতে থাকতেন।

মক্রবপুর গ্রামের শফিকুর রহমান জানান, মারজানের মানসিক সমস্যা রয়েছে। তার সাথে জীন রয়েছে। তাকে বিভিন্ন সময়ে সাহায্য-সহযোগিতা করতাম। সে ইবাদত বন্দেগী করতো। আজ রোববার তার লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। কিন্তু তার ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে গাছের সাথে তাকে যেভাবে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়, এতে তার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এটা আল্লাহ ভালো জানেন। এলাকায় তার কোন শক্র নেই।

নাঙ্গলকোট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম পিপিএম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় একটি অর্জুন গাছ থেকে মারজাহানের লাশ উদ্ধার করে। তার গলায় দাগ রয়েছে। তার পরিবারের দাবি, সে মানসিক রোগী। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটা আত্মহত্যা। তার ভাই তছলিম উদ্দিন থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন। তার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads