• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
গফরগাঁওয়ে বৃদ্ধা মাকে মেরে বাড়ি ছাড়া করেছে সন্তান

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

গফরগাঁওয়ে বৃদ্ধা মাকে মেরে বাড়ি ছাড়া করেছে সন্তান

  • গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৬ মে ২০১৯

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে হাজেরা বেগম (৮০) নামের এক বৃদ্ধা মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে তার ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার উথুরী গ্রামে। এ ঘটনায় হাজেরা বেগম ছেলেদের বিরুদ্ধে গফরগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

পুলিশ আজ রোববার বিকেলে হাজেরা বেগমের ছেলে আব্দুস সাত্তার ও সাত্তারের ছেলে তাফাজ্জলকে আটক করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উথুরী গ্রামের মৃত রেসমত আলীর স্ত্রী হাজেরা বেগমের তিন ছেলে-সাইফুল ইসলাম(৪০), সোহরাব উদ্দিন(৪৫) ও আব্দুস সাত্তার(৫০)। প্রায় ১৬ বৎসর আগে স্বামী মারা যাওয়ার সময় হাজেরা বেগমের নামে ১২ কাঠা জমি লিখে দিয়ে যান। স্বামীর মৃত্যুর পর ছেলেরা হাজেরা বেগমকে কিছুদিন ভরণ পোষণ করে। এক পর্যায়ে ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম জোর করে গোপনে হাজেরা বেগমের কাছ থেকে ১২ কাঠা জমি নিজের নামে লিখে নেয়। এ খবর পাওয়ার পর অন্য দুই ছেলে মায়ের ভরণ পোষণ ও খোঁজ খবর নেওয়া বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় হাজেরা বেগম ছোট ছেলে সাইফুলের সংসারে খাওয়া দাওয়া করতেন। কিন্তু সাইফুলের সংসারে দিনদিন হাজেরা বেগমের আদর কমতে থাকে। এমনকি সাইফুল মাকে ভাত কাপড়েও কষ্ট দিতে থাকে। তিন বেলার মধ্যে কখনো এক বেলা খাবার দিত, কখনো এক বেলাও হাজেরা বেগমকে খাবার দেওয়া হতো না। ভাতের জন্য কাকুতি-মিনতি করলেও দেওয়া হতো না। উল্টো মাকে মারধর অত্যাচার করতো সাইফুল। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিক বার বিচার সালিশও হয়েছে। জমি লিখে নেওয়ায় বিচার সালিশে সাইফুলকেই হাজেরা বেগমের ভরণ পোষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়।  গত বৃহস্পতিবার সকালে সাইফুল ক্ষিপ্ত হয়ে তার মা হাজেরা বেগমকে মারধর করে বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। টানা তিনদিন হাজেরা বেগম না খেয়ে রাস্তার পাশে খোলা আকাশের নিচে পড়ে ছিলেন। এতে হাজেরা বেগম গুরুতর অসুস্থ্ হয়ে পড়েন। গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস ছোবাহান কালা মিয়া প্রতিবেশীদের সহায়তায় হাজেরা বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ছেলেদের বিরুদ্ধে হাজেরা বেগমের টিপসইযুক্ত একটি অভিযোগ গফরগাঁও থানায় দায়ের করা হয়েছে।

গফরগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে হাজেরা বেগমের এক ছেলে ও নাতিকে আটক করা হয়েছে। আমি হাসপাতালে গিয়ে হাজেরা বেগমের খোঁজ খবর নিয়েছি। অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads