উখিয়ার কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পে বসবাসরত প্রায় ৩ শতাধিক রোহিঙ্গা বেশ কিছু দিন ধরে রেশন উত্তোলন তুলছেন না। ক্যাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে সৃষ্ট মতানৈক্যের কারণে তারা রেশন উত্তোলন থেকে বিরত রয়েছে বলে জানা গেছে।
১৯৯২ সালে আশ্রিত কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় ১৩ হাজার ১৭৬ জন রোহিঙ্গার বসবাস। এ পর্যন্ত জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ইউএনএইচসিআর এসব রোহিঙ্গাদের যাবতীয় চাহিদা পূরণ করে আসছিল।
রেশন উত্তোলন থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ক্যাম্পের বাসিন্দা আব্দুস শুক্কুর ও মো. আলম জানায়, তারা দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে ক্যাম্পে বসবাস করে আসলেও পড়ালেখার সুযোগ না দেওয়ায় তাদের ছেলে মেয়েরা অশিক্ষায়-কুশিক্ষায় বেড়ে উঠছে।
আমির আলী, ছৈয়দ আলম, মাবিয়া খাতুন, আয়েশা খাতুন ও আমিনা খাতুন জানায়, তাদেরকে ক্যাম্প প্রশাসন যে এমআরসি কার্ড সরবরাহ দিয়েছে তা নিয়ে ক্যাম্পের বাইরে কোথাও যাওয়া যায় না। এমনকি মুর্মুষ রোগীদের বেলায়ও তা কাজে আসে না।
তারা বলেন, তাদেরকে সম্পূর্ণ শরণার্থী মর্যাদা দিয়ে ক্যাম্পে থাকার সুযোগ করে দেওয়া হোক। অন্যথায় নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হোক। শুধু তাই নয়, আমরা আর আশার বাণী চাই না, আমরা আমাদের অধিকার চাই। কুতুপালং ক্যাম্প মাঝি কেফায়েত উল্লাহ জানান, কিছু কিছু রোহিঙ্গা রেশন উত্তোলন করছে না।
এ বিষয়ে ক্যাম্প ইনচার্জ মো. রেজাউল করিমের বলেন, ক্যাম্পে নতুন করে ডাটা কালেকশন করার সময় এমআরসি নাম্বার বসানো হয়নি। তারা মনে করছে নতুন রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তাদেরকেও একীভূত করার পরিকল্পনা নিয়েছে ক্যাম্প প্রশাসন।
বর্তমানে ক্যাম্পের বসবাসরত সবাই ইউএনএইচসিআর প্রদত্ত রেশন উত্তোলন করছে বলে তিনি দাবী করেন।