• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
গুরুদাসপুরে খুনের মামলার প্রধান স্বাক্ষীকে কুপিয়ে হত্যা

জালাল উদ্দিনের পরিবারের আহাজারি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

গুরুদাসপুরে খুনের মামলার প্রধান স্বাক্ষীকে কুপিয়ে হত্যা

  • গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৩ জুন ২০১৯

নাটোরের গুরুদাসপুরে একটি খুনের মামলার প্রধান স্বাক্ষী জালাল উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে স্বাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে তাকে কুপিয়ে ডান হাত কেটে নেয় আসামীরা। এ সময় পায়ের রগ ও বাম হাতটিও কুপিয়ে জখম করে তারা। দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম জানান, আহত অবস্থায় জালালকে প্রথমে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জালাল উদ্দিন উপজেলার যোগেন্দ্র নগর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও জালালরের স্বজনরা জানান, ২০১৩ সালের ১৩ মে উপজেলার যোগেন্দ্র নগর গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্ত একটি নারীকে শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় নিহত সফুরার ভাই বাদী হয়ে সাইফুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজনকে আাসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় জালাল উদ্দিনকে প্রধান স্বাক্ষী করা হয়। সেই হত্যা মামলায় আজ আদালতে স্বাক্ষীর হাজিরার নির্ধারিত দিন ছিল।

আজ সকালে জালাল উদ্দিন স্বাক্ষী দিতে আদালতে যাওয়ার জন্য বাড়ী থেকে বের হলে পথে যোগেন্দ্র নগর বাজারের কাছে প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা করে। এ সময় প্রতিপক্ষরা জালাল উদ্দিনের ডান হাত কেটে নেয় এবং বাম হাত ও পায়ে কুপিয়ে জখম করে।

পরে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গুুেদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে জালালের অবস্থার অবণতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads