বগুড়ার গাবতলীতে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
গত রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নাড়–য়ামালা ইউনিয়নের চককাতুলী গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
সংঘর্ষ এড়াতে ওই গ্রামে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে অনেক পুরুষ গা ঢাকা দিয়েছে, ফলে এলাকা পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে।
ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন ও স্থানীয় লোকজন সুত্রে জানা গেছে ও্ই গ্রামের মৃত আবু তালেব ফকিরের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিকের সাথে একই গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে আশরাফ হোসেন বাবুর জমি থেকে রাস্তা বের করা নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধ চলে আসছিল। এ্রই জের ধরে গত রবিবার বিকালে বক্কর এবং বাবুর মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় গ্রামে বহিরাগত সন্ত্রাসী এসেছে এমন গুজব ছড়িয়ে মসজিদের মাইকে লোকজনকে ডেকে একত্রিত করে। এরপর দেশিয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বক্করের বসতবাড়ি সহ প্রায় ১১/১২টি বাড়ি ভাংচুর ও বিভিন্ন মালামাল লুট করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।
তবে বাবু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন বহিরাগত সন্ত্রাসী আগেই তাদের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুর করে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকায় সেখানে এস আই মাহমুদ সহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষনিক ভাবে আব্দুস সামাদ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে।
এ ব্যাপারে নাড়–য়ামালা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গোফ্ফার জানান, দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। আমরা বিষয়টি মীমাংসার জন্য বুধবারে উপজেলা পরিষদে দুই পক্ষের লোকজন নিয়ে বসবো। সেখানে উপজেলা চেয়ারম্যান, থানার তদন্ত কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং এলাকার মুরব্বিরা উপস্থিত থাকবেন।