• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

আজ কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া লঞ্চঘাট থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে বিআিইডাব্লিউটিএ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

বুড়িগঙ্গার তীরে উচ্ছেদ অভিযান

দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

  • কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০২ জুলাই ২০১৯

বুড়িগঙ্গা নদীর দুই তীর দখলমুক্ত করতে চতুর্থ দফায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া লঞ্চঘাট থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়ে মান্দাইল গকুলচর পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়।

এসময় ছোট বড় ১৯৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ২ একর জায়গা দখলদারদের হাত থেকে অবমুক্ত করা হয়। বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন, উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান, সহকারি পরিচালক নূর হোসেন উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা নদী বন্দরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, চতুর্থ দফার উচ্ছেদ অভিযানের প্রথম দিন ১৯৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, তিনতলা ভবন ১টি, দোতলা ভবন ১৩টি, একতলা ভবন ৩৭টি, আধাপাকা স্থাপনা ৮৫টি, বাউন্ডারী দেয়াল ১৭টি ও টিনের ঘর ৪৫টি। এসব স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ২ একর জায়গা অবমুক্ত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, উচ্ছেদকৃত জায়গায় ওয়াকওয়ে, ইকোপার্ক, গাইডওয়াল ও তীর প্রটেকশন নির্মান করা হবে। সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য বৃক্ষরোপনসহ বসার জায়গা থাকবে। আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত (১২ কার্যদিবস) ফতুল্লার আলীগঞ্জ পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।

বিআইডব্লিউটিএ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখানে কয়েক বছর আগেই নদী রক্ষা সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়। সীমানা পিলার অতিক্রম করে নির্মিত স্থাপনাগুলোই শুধু উচ্ছেদ করা হচ্ছে। উচ্ছেদের আগে লাল দাগ দিয়ে অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা ও মাইকিং করে তাদের জানানো হয়েছে। তারপরও তারা এগুলো সরিয়ে না নেয়ায় আমাদের অভিযান চালাতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নদী রক্ষায় মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে। দখলদার যত ক্ষমতাশালী হোক, সেটা দেখা হবে না। নদীর জায়গা নদীতে ফিরিয়ে দিতে আমরা বদ্ধ পরিকর।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads