• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
সোমেশ্বরীতে মাইকিং করে মানুষকে সরিয়ে নেওয়‍া হচ্ছে

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

ভাঙ্গনের কবলে একাধিক গ্রাম

সোমেশ্বরীতে মাইকিং করে মানুষকে সরিয়ে নেওয়‍া হচ্ছে

  • দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ জুলাই ২০১৯

টানা বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে ফুলে উঠছে নেত্রকোনার দূর্গাপুরের পাহাড়ী নদী সোমেশ্বরী। গত দুইদিন ধরে বৃষ্টিতে ২য় বারের মতো নদটি ফেঁপে উঠছে। বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। দফায় দফায় পানি বাড়া কমায় তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। কিছু কিছু নিচু এলাকায় পানি জমে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

গতক‍াল বুধবার রাতে বৃষ্টি না হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও দেখে দিয়েছে কুল্লাগড়া ইউনিয়নের ৫টি গ্রামের সড়কের পাড় ভাঙ্গন। আর এই আতংকে এখন এলাকাবাসী। সঠিক সময়ে সঠিকভাবে বাঁধ নির্মাণ করলে হয়তো মাটি ভেঙ্গে পড়তো না।

উপজেলার কুল্লাউড়া ইউনিয়নের ২ ও ৫নং ওয়ার্ড বারইকান্দা, ভূলিপাড়া, কামারখালীতে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে গ্রামীণ মানুষের চলাচলের রাস্তা ভেঙ্গে হুমকির মুখে পড়েছে মসজিদ, মন্দির সহ পুরো গ্রাম। ইতিমধ্যে এই এলাকায় মাইকিং করে নদী তীরবর্তী মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা।

বাবু নামের স্থানীয় এক যুবক জানান, প্রশাসন সময়মতো কিছুই করে না। দুইদন যাবৎ তাদেরকে জানিয়ে আসলেও বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তাদের দেখা মিলেনি। মানুষ যখন বাড়িঘর হারিয়ে পানিতে বসে থাকবে তখন তারা চিড়া মুড়ি দিতে আসবে। এটাই কি তাদের কাজ?

২ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার শফিকুল ইসলাম জানান, সময়মতো বাঁধ দিলে আজ এই অবস্থা হতো না। অনেকের বাড়ি ভেঙ্গে গেছে এরইমাঝে। তাদেরেকে পরিষদে নিয়ে জায়গা দিয়েছি। প্রশাসন এ সমস্ত ব্যপ‍ারগুলো নিয়ে প্রতিবছরই ঢিলিমিছি করে। যে কারণে ভুগতে হয় সাধারণ মানুষদের।

এই দিকে উপজেলার নিম্ন এলাকা বিরিশিরি, কাকৈরগড়া, বাকলজোড়া ইউনিয়নের বেশ কিছু স্থানে ঢলের পানি প্রবেশ করে বন্যায় রূপ নিয়েছে। ফলে সৃষ্টি জলবদ্ধতার। স্থানীরাও ছুটছেন পাশবর্তী নিরাপদ আশ্রয়স্থলে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কাকৈরগড়া ইউনিয়নের লক্ষীপুর, ইন্দ্রপুর সহ আশপাশের প্রায় ৩ শতাধিক পরিবার, বিরিশিরি ইউনিয়নের কয়েকটি বিরিশিরি মিশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বাকলজোড়ার কুমুদগঞ্জ, বালিচান্দা, খালিসাপাড়া, কোনাপাড়া শতাধিক পরিবার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। আর এই সব এলাকায় খাবার পানির তীব্র সংকটও দেখা দিয়েছে।

দূর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, ভাঙ্গন কবলিত ও প্লাবিত এলাকাগুলো পরিদর্শনে বের হয়েছেন। পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেবেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads