• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
কেরানীগঞ্জে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

সরকারদলীয় নেতাদের বালুব্যবসা বন্ধ করে দখলমুক্ত করা হয় বুড়িগঙ্গার দুই তীর

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

কেরানীগঞ্জে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

সরকারদলীয় নেতাদের বালুব্যবসা বন্ধ

  • কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ জুলাই ২০১৯

বুড়িগঙ্গা নদীর দুই তীর দখলমুক্ত করতে ৪র্থ পর্বের ২য় পর্যায়ের ৩য় দিনে কেরানীগঞ্জের ফতুল্লায় পরিচালিত বিশেষ অভিযান।

আজ বৃস্পতিবার ১১জুলাই সকাল ৯টায় বুড়িগঙ্গা নদীর উত্তর পাশ শ্মশানঘাট হতে শ্যামপুর লঞ্চঘাট বুড়িগঙ্গা নদীর (উত্তরপাড়) পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়। এসময় ছোট বড় ৯০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ০৭ একর জায়গা দখলদারদের হাত থেকে অবমুক্ত করা হয়।

এসময় বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন , উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান, সহকারি পরিচালক নূর হোসেন, সহকারি পরিচালক রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান চলাকালিন সময় বাঁধা দেয়া ও হামলার কারণে তিনজনকে হাতে নাতে আটক। মোবাইল কোর্টের বিজ্ঞ হাকিম প্রত্যেককে ৩ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন।
। বিআইডব্লিউটিএ এর যুগ্ন পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন জানান,দখলকারীরা যতই শক্তিশালী হোক আমরা নদীর দু‘পাশ উদ্ধার করবই। আমরা ৫দিনের বিরতি দিয়ে আবার আগামী ১৬.০৭.২০১৯ তারিখ সোমবার সকাল ৯ টা থেকে শ্যামপুর লঞ্চঘাট থেকে পাগলা অভিমুখে বুড়িগঙ্গা নদীতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে।
সকাল ৯ টায় থেকে ৫ টা পর্যন্ত ফতুল্লার অভিমুখে বুড়িগঙ্গা নদীর উভয় তীরে উচ্ছেদ অভিযান চলবে। তিনি আরো বলেন, ৪র্থ পর্বের ২য় পর্যায়ের ৩য় দিন ৯০ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে দোতলা ০১ টি ,এক তলা ১৫ টি,আধা পাকা ৪৫ টি, টিনের ঘর ২৯ টি,মোট ৯০ টি অবমুক্ত জায়গা ০৭একর। নিলাম =১ কোটি ৪৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বাঁধা দেয়া ও হামলার কারণে তিনজনকে হাতে নাতে আটক। মোবাইল কোর্টের বিজ্ঞ হাকিম একর জায়গা অবমুক্ত করা হয়েছে।(১২ কার্যদিবস)এর আজ দ্বিতীয় দিন আমাদের এ অভিযান ২৫ জুলাই পর্যন্ত ফতুল্লার আলীগঞ্জ পর্যন্ত চলবে।তিনি আরও বলেন, উচ্ছেদকৃত জায়গায় ওয়াকওয়ে, ইকোপার্ক, গাইডওয়াল ও তীর প্রটেকশন নির্মান করা হবে। সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য বৃক্ষরোপনসহ বসার জায়গা থাকবে।
বিআইডব্লিউটিএ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখানে কয়েক বছর আগেই নদী রক্ষা সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়। সীমানা পিলার অতিক্রম করে নির্মিত স্থাপনাগুলোই শুধু উচ্ছেদ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নদী রক্ষায় মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে। দখলদার যত ক্ষমতাশালী হোক, সেটা দেখা হবে না। নদীর জায়গা নদীতে ফিরিয়ে দিতে আমরা বদ্ধ পরিকর।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads