• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
ধর্ষিতাকে স্কুল থেকে বের করে দিল শিক্ষক

ছবি : সংগৃহীত

সারা দেশ

ধর্ষিতাকে স্কুল থেকে বের করে দিল শিক্ষক

  • মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৬ জুলাই ২০১৯

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় ধর্ষণের শিকার এক ছাত্রীকে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নে উত্তর যশলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীমা আক্তারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন নির্যাতিতার মা।

নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর মা জানান, গত ৮ জুলাই তার মেয়েকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে প্রধান শিক্ষক তাকে ডেকে নিয়ে মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে নিষেধ করেন। তবে মেয়েকে যদি মাদরাসা অথবা অন্য কোনো স্কুলে পড়ায় তাহলে তাকে টিসি দেবেন বলে তিনি আশ্বাস দেন। এ ব্যাপারে গতকাল সোমবার লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ওই শিক্ষককে রোববার ডাকা হয়। তার মৌখিক ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় আমরা তাকে শোকজ করেছি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টা প্রক্রিয়াধীন।

তিনি আরো বলেন, শিশু নির্যাতনের ঘটনাটি তিনি জানার পরও বিষয়টি ওই শিক্ষক আমাদের জানাননি। উল্টো অসহায় মেয়েটিকে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছেন। তার উচিত ছিল শিশুটির পাশে দাঁড়িয়ে বাদী হয়ে মামলা করা। কিন্তু তিনি নির্যাতিত শিশুটির পাশে না দাঁড়িয়ে বরং তাকে আরো নির্যাতন করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে ওই শিক্ষিকাকে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি এখন একটু ব্যস্ত আছি। পড়ে কথা বলব। এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন। যদিও শনিবার এ অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেছিলেন, আমি ছাত্রীকে স্কুল থেকে বের করে দেইনি। তাকে কয়েকদিন স্কুলে আসতে নিষেধ করেছিলাম। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্কুলে আসতে বলেছি।

লৌহজং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, নির্যাতিত শিশুটিকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে শুনে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়টি জানিয়েছি।

প্রসঙ্গত, রোববার ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার আলাউদ্দিন হাওলাদার (৫৫) ও সালিশকারী খলিলুর রহমান শেখকে কোর্টে হাজির করা হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হলে রোববার বিচারের দিন ধার্য করেন আদালত। উল্লেখ্য, গত ২৪ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রতিবেশীর বাড়িতে যাওয়ার সময় আলাউদ্দিন হাওলাদার ওই শিশুকে আটকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়। 

শিশুটি বাসায় এসে তার মাকে সব জানায়। পরে তার মা স্থানীয় মাতবর খলিলুর রহমান শেখ ও করিম ছৈয়ালকে বিষয়টি জানালে তারা আপস মীমাংসা করার কথাসহ মামলা করা হবে বলে জানায়। কিন্তু  তারা বিষয়টি পুলিশ বা অন্য কাউকে জানাতে নিষেধ করে আলাউদ্দিনকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। পরে গত শুক্রবার বিকালে লৌহজং থানায় ধর্ষক আলাউদ্দিন হাওলাদার (৫৫) ও সালিশকারী খলিলুর রহমান শেখ ও করিম ছৈয়ালকে আসামি করে মামলা করেন শিশুটির মা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads