• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

সারা দেশ

কমলগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, এখনও পৌঁছায়নি ত্রাণ

  • কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৭ জুলাই ২০১৯

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের শমশেরনগর, পতন উষার ও মুন্সীবাজার এলাকায় বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। হতদরিদ্র পানিবন্দি শত শত পরিবারের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোন ত্রাণ পৌঁছায়নি। ৫২ টন চাল বরাদ্দ হলেও বুধবার থেকে সেগুলো বিতরণ করা হবে বলে জানা গেছে। শুকনো খাবার না থাকায় অনেক পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। নদী ভাঙ্গন ও ঢলে গত শুক্রবার রাত থেকে পানিবন্দি হতে থাকে এসব পরিবার।

কমলগঞ্জের পতনঊষার ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন গ্রামে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,  নন্দ্রগ্রাম, কোনাগাঁও,  নিজ বৃন্দাবনপুর, গোপীনগর,  রাধাগোবিন্দপুর, মাজগাঁও, বাজারকোণা, কোনাগাঁও, পশ্চিম পতনঊষার,  ফরিংগাকোণা প্রভৃতি গ্রামে এখনো মানুষের বসতবাড়িতে পানি রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি ত্রাণ সহায়তা আসেনি তাদের।

পতনঊষারের কৃষক তোয়াবুর রহমান বলেন, ‘আমরা ত্রাণ চাই না। বীজ, হালির চারাসহ জরুরি ভিত্তিতে কৃষি পূণর্বাসন চাই।’ বাজারকোণা গ্রামের রিক্সাচালক ও হোসেন মিয়া জানান, ‘গত ৫দিন ধরে এ গ্রামের ৩৫টি পরিবার পানিবন্দি। ঘরের চুলা পর্যন্ত জলছে না। এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ আসেনি।’

 পতনঊষার ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য আং কুদ্দুস জানান, ‘তার ওয়ার্ডে ৬টি গ্রামের প্রায় ৪০০ পরিবার এখনো পানিবন্দি। অনেক লোক বসতঘর ছেড়ে গরু-ছাগল, মালামালসহ বাহিরে আশ্রয় নিয়েছে।  এলাকায় বিশুদ্ধ পানীয় জলেরও সংকট দেখা দিয়েছে।’

এছাড়া উপজেলার শমশেরনগর, পতনউষার, মুন্সীবাজার ও রহিমপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল এলাকার প্রায় ৩৫টি গ্রামের ৭০০ পরিবার গত চারদিন ধরে বন্যার পানি মোকাবেলা করে দিন কাটাচ্ছে। চারদিনেও সরকারি কোনো ধরণের ত্রাণ না আসায় হত দরিদ্র পরিবার সদস্যরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কেউ কেউ গবাদিপশু নিয়েও একই ঘরে দিন যাপন করছেন। এসব পরিবার সদস্যদের শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সংকট দেখা গেছে।

শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ ব্যক্তিগতভাবে ২০০ পরিবারের মধ্যে ৫ কেজি চাল, হাফ লিটার সোয়াবিন, এক কেজি পিয়াজ, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি চিরা ও ১ কেজি আলু বিতরণ করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads