• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ধর্ষিতা ছাত্রীকে পরীক্ষা না দিতে দেওয়ার অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

সারা দেশ

ধর্ষিতা ছাত্রীকে পরীক্ষা না দিতে দেওয়ার অভিযোগ

  • দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৮ জুলাই ২০১৯

দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি

ঢাকার নবাবগঞ্জের বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্ষণের শিকার অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১৫) স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

আজ বৃহস্পবিতার সকালে স্থানীয় সাংবাদিকের কাছে ঐ শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা এ অভিযোগ করেন। এতে অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা দিতে পারছে না ওই ছাত্রী।

নির্যাতিত ছাত্রীর জানান, “বেতন, জরিমানা, কোচিং ও পরীক্ষার ফি নিলেও মেয়েকে স্কুলে থেকে বের করে দিয়েছেন বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান মো. নজরুল ইসলাম।”

নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর মা জায়েদা বেগম আরও জানান, ৯ জুন আমার মেয়ের মাসিক বেতন, জরিমানা, কোচিং ও পরীক্ষার ফি বাবদ ১৬৬০ টাকা নেন। ১১শ’ টাকার একটি রশিদও দেয়া হয়। পরে ১১জুলাই পরীক্ষা দিতে গেলে আমার মেয়েকে পরীক্ষা দিতে বাঁধা দেওয়া হয়। এমনকি তাকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। পরে প্রধান শিক্ষক,সহকারী শিক্ষক মোস্তফাসহ সকল শিক্ষকের উপস্থিতিতে আমাকে লাইব্রেরীতে ডেকে নেয়া হয়। এসময় মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে নিষেধ করেন তারা।

এ ব্যাপারে বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘ওর এঘটনা আমরা জানতাম না। ইন্টারনেটে ছাত্রীরা ঘটনাটি জেনেছে। সহপাঠীরা খুঁনসুটি করা নিয়ে ৯ জুলাই স্কুল ফটকে ছাত্রীদের সাথে মারামারি করে। অভিভাবকদের অভিযোগে ঐ ছাত্রীর মাকে ডেকে কিছুদিন স্কুলে না আসতে বলা হয়েছিল। অভিভাবকদের অভিযোগে বৃহস্পতিবার পরীক্ষার দিন (১১জুলাই) তাই স্কুলে আসতে নিষেধ করেছিলাম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্কুলে আসতে বলেছি।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিদ্দিক নূর আলম এ ব্যাপারে বলেন, এবিষয়টি আজ (১৮ জুলাই) বৃহস্পতিবার সকালে শুনেছি, তবে সে যদি পড়ালেখা করতে চায় তাহলে আমরা সর্বাধিক সহযোগীতা করব।

নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল এ ব্যাপারে বলেন, এবিষয়ে আমার জানা ছিল না। ঘটনাটি অত্যান্ত অমানবিক। ওই ছাত্রীর পরিবার থানায় যোগাযোগ করুক। আমরা ব্যবস্থা নেব।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, দোহার থানার উপ-পরিদর্শক অখিল রঞ্জন সরকার বলেন, বিষয়টি নিয়ে দোহার থানায় আসলে নির্যাতিতার পরিবারকে নবাবগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছি। তিনিই বিষয়টির আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচএম সালাউদ্দিন মনজুর বলেন, বিষয়টি আমি শুনা মাত্র উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছি। মেয়েটির লেখা-পড়ার ব্যাপারে সকল ধরণের সহযোগিতা করা হবে।

ঘটনা সূত্র, দোহারের জয়পাড়া বাজারের একটি কাপড়ের দোকানে যাতায়াতের সূত্রে স্কুলছাত্রীর সাথে পরিচয় হয় কয়েকজন সেলসম্যানের। পরে গত ১৯ জুন মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে জয়পাড়ার ড্রিম চাইনিজ রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায় লম্পট ফয়সাল সিকদার। পরে লম্পটের বন্ধু শাওন ও রেস্টুরেন্টের মালিক বাবুলের সহযোগিতায় ছাত্রীকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে ফয়সাল। ধর্ষণের পর তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঐ ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে তার মাকে সব জানায়। এব্যাপারে দোহার থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন নির্যাতিত ছাত্রীর মা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads