গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় ছেলে ধরা সন্দেহে রবিউল (৩০) নামের এক যুবককে ব্যাপক গণধোলাই দেয় স্থানীয় জনতা।
আজ রবিবার সকাল ৬টার দিকে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের গফুর মোল্লার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার সকাল ৬টার দিকে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের গফুর মোল্লার পাড়ায় সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। হঠাত সে গ্রামের আজাদ সরদারের বাড়ীতে গিয়ে আজাদের মেয়ে নদীকে (৮) ইশারায় ডাকতে থাকে। নদী কাছে আসলে সে তার মুখ চেপে ধরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এ সময় পাশের বাড়ীতে টিউবয়েলের পানি আনতে যাওয়া শিশুটির মা রেহেনা বেগম এসে ঘটনা দেখতে পান। তিনি তৎক্ষনাত চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা এসে রবিউলকে পাকড়াও করে একটি গাছের সাথে বাঁধে। পরে তাকে বেদম মারপিট করা হয়। এ সময় কেউ কেউ তাকে থানায় অথবা চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। পরে উত্তেজিত জনতা তাকে পাশেই দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আ. গণি মন্ডলের কাছে নিয়ে যান।
এ দিকে আটক যুবককে মারপিটের একটি ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ করা হলে সেটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে আ. গণি মন্ডল জানান, সন্দেহভাজন যুবক নিজের নাম রবিউল ও বাড়ী নারায়ণগঞ্জ ছাড়া আর কিছু বলতে পারে না। তাকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় অনেক দিন ধরে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যাচ্ছে এবং সে মানসিকভাবে প্রতিবন্ধি বলে আমাদের মনে হয়েছে। সে কারণে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না। তিনি জন সাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, কাউকে কোন বিষয়ে সন্দেহ হলে তাকে মারধর না করে দ্রুত পুলিশে খবর দিতে হবে। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া যাবে না। সন্দেহের বশবতি হয়ে মারপিট করলে নিরপরাধ ব্যক্তির জখম এমনকি প্রাণহানিও ঘটতে পারে।
