• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
কুষ্টিয়ায় সাড়ে ১৭হাজার খামারে ১লক্ষ ৩৩হাজার কোরবানির পশু প্রস্তুত

কুষ্টিয়ায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৩৩ হাজার পশু

ছবি : ‍বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

কুষ্টিয়ায় সাড়ে ১৭হাজার খামারে ১লক্ষ ৩৩হাজার কোরবানির পশু প্রস্তুত

  • কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০২ আগস্ট ২০১৯

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে কুষ্টিয়া জেলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন গরু-মহিষ খামারিরা। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে গরুর পরিচর্যা। তবে ভালো দিক হলো ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার না করে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন খামারি ও কৃষক। ঈদে দেশীয় গরুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় খামারের পাশাপাশি গরু মোটাতাজা করছেন স্থানীয় অনেক কৃষক। তবে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় এবং গতবার লাভ কিছুটা কম হাওয়ায় এবার খামারে গরু পালন কমেছে। যদিও এবারও গরু-মহিষের দাম তুলনামূলকভাবে কম থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কুষ্টিয়া জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, কুষ্টিয়া জেলার ছয়টি উপজেলায় সাড়ে ১৭হাজার খামার রয়েছে। এসব খামারে ১ লক্ষ ৩৩ হাজার পশু মোটাতাজা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি স্থানীয় ভাবেও কৃষকরা কোরবানির উদ্দেশ্যে বিক্রির জন্য গরু-ছাগল পালন করছেন।

দৌলতপুর উপজেলার এক গরু খামারি জানায়, এ এলাকায় বেশিরভাগ খামারি দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ঘাস-খড়ের পাশাপাশি খৈলগুঁড়া ও ভুসি খাওয়ানো হচ্ছে। তাছাড়া ঈদকে সামনে রেখে দেশীয় গরুর চাহিদা থাকায় খামারিদের পাশাপাশি অনেক কৃষক পরিবারে গরু মোটাতাজা করেছেন। গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে গরুতে লাভ কিছুটা কমে গেছে।

ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকার এক কৃষক সোলাইমান জানান, গত বছর তিনটি গরুতে প্রায় ২০ হাজার টাকা লেকসান দিতে হয়েছে। গরু তিনটি উৎপাদনে প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার টাকা খরচ হলেও বিক্রি করতে হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায়। গত ঈদের শেষ মুহূর্তে গরুর দাম কমে যাওয়ায় এ লোকসান গুনতে হয়। তাই এ বছর কোনো গরু উৎপাদন করেননি।

কৃষক আসলাম জানান, বর্তমানে একটি গরু উৎপাদন করতে যে খরচ হয়, বিক্রি করলে সেই টাকা ওঠানো যায় না। কয়েক বছরে গরুর সব খাবারের দাম দ্বিগুণ হলেও গরুর দাম তেমন বাড়েনি। তাই এবার তার বাড়িতে কোনো গরু নেই।

কুষ্টিয়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সিদ্দীকুর রহমান জানান, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে প্রতিটি উপজেলায় আমাদের কর্মীরা কাজ করছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রতি উপজেলায় মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ দুটি হাটে এ মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। পশুর রোগ প্রতিষেধক ভ্যাকসিন পর্যাপ্ত রয়েছে। খামারি ও কৃষকদের মাঝে চাহিদামতো তা ব্যবহার করা হবে। কুষ্টিয়াএখন গরু মোটাজাতাকরণ ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয় না। আমরা গ্রামের প্রত্যন্ত মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে সারা বছর প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি। সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা ও লিফলেট বিলি করে আসছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads