• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
‘কলাপাড়ায় পুকুর ও দোকান ভেঙ্গে ভিজিএফের চাল উদ্ধার

কলাপাড়ায় চাকমইয়া ইউনিয়ন থেকে উদ্ধার করা ভিজিএফএর চালের বস্তা উদ্ধার

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

‘কলাপাড়ায় পুকুর ও দোকান ভেঙ্গে ভিজিএফের চাল উদ্ধার

চেয়ারম্যান পুলিশ হেফাজতে

  • কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৭ আগস্ট ২০১৯

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পুকুর ও দোকান থেকে ঈদ উপলক্ষে দেওয়া ভিজিএফের চাল উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নে  হঠাৎ এ অভিযান চালায়ে হতদরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত এসকল চাউল উদ্ধার করা হয়।

আত্মসাত করা হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ইউএনও মো. মুনিবুর রহমান আকস্মিক এ অভিযান চালান। অভিযানের খবর পেয়ে বস্তা কেটে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় এবং দোকান তালাবন্ধ করে পালিয়ে গেলেও ধরা পুলিশের হতে ধরা পড়েন ইউপি চেয়ারম্যান ও তার এক সহযোগী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদে বিশেষ ভিজিএফের চাউল বিতরণের অনিয়মের খবর পেয়ে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চাকামইয়া গ্রামের জালাল চাকরের বাসায় অভিযান চালায়। এ অভিযানের খবর পেয়ে জালাল চাকর একাধিক চাউলের বস্তা কেটে তার বাড়ির পুকুরে ফেলে দেয়। ইউএনও’র উপস্থিতিতে স্থানীয়রা পুকুরে ডুবিয়ে ছয়টি চাউলের বস্তা ও ১০ টি খালি বস্তা উদ্ধার করে। এ সময় চাউল আত্মসাতের অভিযোগে জামাল নামে একজনকে আটক করে।

একই সময়ে পশ্চিম চাকামইয়া স্কুল সংলগ্ন থেকে একটি দোকানে পুলিশের উপস্থিতিতে তালা ভেঙ্গে ৩০ কেজি করে ১৩ বস্তা ভিজিএফের চাউল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চাকামইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ন কবির কেরামতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তিঁনি বর্তমানে কলাপাড়া থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাড়াও উপজেলা সহকারি কমিশণার (ভূমি) অনুপ দাস, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষ এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষ জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি এ অভিযান চালিয়ে চাউল উদ্ধার করেন। চাল আত্মসাতের ঘটনায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করবেন। প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ ভিজিএফের চাউল আত্মসাতে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

চাকামইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ন কবির কেরামত জানান, তার ইউনিয়নে মোট ৩০ কেজি করে ২৩০৭ বস্তা চাল বিতরণের জন্য দেওয়া হয়েছে। যার অধিকাংশই গতকাল (মঙ্গলবার) বিতরণ করা হয়েছে। হয়তো রাতের আঁধারে এ চাউলের বস্তা কেউ চুরি করে তাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads