• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
লামার সরইতে ১৩ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত, জনমনে আতঙ্ক

প্রতীকী ছবি

সারা দেশ

লামার সরইতে ১৩ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত, জনমনে আতঙ্ক

  • লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২০ আগস্ট ২০১৯

বান্দরবানের লামায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ১৩ জন রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ১৩ জনই লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের বাসিন্দা। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭ জন, পার্শ্ববর্তী পদুয়া সরকারি হাসপাতালে ১ জন ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ১৩ জনের মধ্যে ৫ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন লামা হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিদর্শক দিদারুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, খবর পেয়ে সোমবার লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল সহ আমরা সরই যাই। সেখানে দিনব্যাপী ভ্রাম্যমান মেডিকেল টিম পরিচালনা করি। সম্ভাব্য ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত এমন অনেক রোগীকে পরীক্ষা করা হয়। তারমধ্যে ১৩ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে সনাক্ত করা হয়েছে।

আক্রান্ত রোগীরা হলেন, ফয়সাল হোসেন (১৯), কমরু সওদাগর (২৬), মো. ফারুক (৩৮), শাহ আলম (২৬), মো. ইসমাইল (৩২), মো. সাকিল (২১), চম্পা কর্মকার (২২), জায়েদ হোসেন (১১), মো. সোহেল (১২), কপিল উদ্দিন (৩৫), মহিউদ্দিন (১৮), আবুল কালাম (৫০) ও আমেনা বেগম (৩০)।

লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোহামুদুল হক বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। ঈদের ছুটিতে অনেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাড়িতে আসায় তাদের মধ্য দিয়ে ডেঙ্গু লামায় বিস্তার লাভ করেছে। ডেঙ্গু দুই ধরনের। ১. ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু ফিভার। অন্য ভাইরাল ফিভারের মতো ভয় না পেলে কোনো সমস্যা নেই। ২. ডেঙ্গু হিমোরেজিক ফিভার। এই ফিভারে ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গুর সবকিছুই থাকে। রক্তনালির লিকিং হয় বলে বাড়তি কিছু সমস্যা হয়। ঠিকমতো হ্যান্ডলিং না করলে জীবনের ঝুঁকি আসতে পারে। আজকে থেকে সরই পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়মিত ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের জন্য ১টি মেডিকেল টিম কাজ করবে। সম্প্রতি সময়ে লামা উপজেলায় ম্যালেরিয়া রোগের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব বেড়েছে।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত সরই বাজার পাড়ার বাসিন্দা ফয়সাল হোসেন বলেন, আক্রান্ত অধিকাংশ রোগী সরই বাজারের আশপাশের। ওই মশায় কামড় দেওয়ার পর হাতে বেশ বড় আকারের গুটি হয়। সেখানে যন্ত্রণা হয়েছিল। হাসপাতাল রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু এনএইচ-১ পজেটিভ পাওয়া গেছে। এছাড়া অন্যান্য যারা ভর্তি রয়েছেন, তাদের প্রায় সকলেই স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত।

লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল বলেন, সরই ইউনিয়নে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ছে। ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার পর থেকে জনমনে আতংক বাড়ছে। এডিস মশার বংশ-বিস্তার ঠেকাতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আজ সারাদিন সরই বাজার ও আশপাশের এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে ফগার মেশিন দিয়ে এডিস মশার ধ্বংসে অভিযান পরিচালনা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে সভা করা হয়েছে। সর্বপ্রথম কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনে কর্মচারী মো. ইসমাইল নামে একজন রোগী শনাক্ত হয়। তাই কোয়ান্টাম পল্লীতে দেশী-বিদেশী পর্যটক ও মেহমানদের আগমন বন্ধ করতে কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। এছাড়া ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে ১৫টি মশারি বিতরণ করা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads