• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
গ্রেনেড হামলায় নিহত চাঁদপুরের দুই পরিবার মামলার রায় কার্যকর চায়

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

গ্রেনেড হামলায় নিহত চাঁদপুরের দুই পরিবার মামলার রায় কার্যকর চায়

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২১ আগস্ট ২০১৯

২০০৪ সালে ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় বর্বরোচিত ও পৈশাচিক গ্রেনেড হামলায় ঝরে যায় তরতাজা ২৩ প্রাণ। আহত হয় শতাধিক মানুষ। ওই ২৩ জনের মধ্যে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার উত্তর পাচানী গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী শ্রমিক আতিক সরকার এবং স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও হাইমচর উপজেলার উত্তর চর কৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছ পাটওয়ারী নিহত হন।

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এই ঘটনায় হওয়া মামলার রায় ঘোষণা হয়। রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত।

পুরনো ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সময় ৩১ জন আসামিকে কারাগারে হাজির করা হয়।

এ মামলার রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছে ওই দুই পরিবার।

গতকাল মঙ্গলবার নিহত দুই পরিবারের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা বলে জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের উত্তর পাঁচানি গ্রামের বাসিন্দা আওয়ামী লীগ কর্মী আতিক সরকার ঢাকায় একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। নিহত হওয়ার সময় তিনি রেখে যান স্ত্রী ও ৪ সন্তান।

তার স্ত্রী লাইলি বেগম জানান, তার স্বামীর মৃত্যুর কিছুদিন পর দলের পক্ষ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা সহায়তা করা হয় এবং এরপর দীর্ঘ ৯ বছর অতি কষ্টে সংসার পরিচালনা করেন তিনি। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে দিলে ১০ হাজার টাকা লভ্যাংশ দিয়ে চলছে তাদের সংসার। তার সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে মেয়ে ও বড় ছেলে কর্মংস্থানের দাবী করেছেন সরকারের কাছে। পাশাপাশি তার স্বামীর হামলাকারীদের রায় কার্যকর করার দাবী করেছেন।

অপরদিকে স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল কুদ্দুছ পাটওয়ারীর মা আমেনা বেগম হত্যাকারীদের বিচার দেখে যেতে পারেননি। তিনি ২০১৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে তিনি মারা যান।

কুদ্দুছের বড় ভাই মো. হুমায়ুন কবির জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাইয়ের মৃত্যুর পর সব সময় খোঁজ খবর রেখেছেন এবং সহায়তা করেছেন। আমরা হামলার ঘটনায় হওয়া মামলার রায়ের কার্যকর করার দাবী জানাই।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads