• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
কালিয়াকৈরে নিরাপত্তার দাবিতে গৃহবধূর সংবাদ সম্মেলন

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

কালিয়াকৈরে নিরাপত্তার দাবিতে গৃহবধূর সংবাদ সম্মেলন

  • কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে নারী নির্যাতনের আসামি জামিনে মুক্তি পেয়ে মামলা তুলে নিতে বাদী গৃহবধু ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে ওই গৃহবধূ নিজের নিরাপত্তা ও নির্যাতনের বিচারের দাবিতে কালিয়াকৈর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তার মা ফেরদৌসী বেগম লতাসহ তার স্বজনরা।

নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ হলেন কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া উত্তরপাড়া এলাকার মৃত মোশারফ হোসেনের মেয়ে উম্মে মুসলিমা মুক্তা (৩৩)।

সংবাদ সম্মেলন ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত তিন বছর আগে উপজেলার মোথাপাড়া  এলাকার শেখ আব্দুল হাকিমের ছেলে ও গাজীপুর জেলা বিএনপির যুবদলের সহ-সভাপতি শেখ সাব্বির আহম্মেদ কছিমের সঙ্গে পারিবারিকভাবে মুক্তার বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মুক্তার উপর যৌতুকের দাবিতে অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে তার স্বামী সাব্বির। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তার শরীরে বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে সিগারেটের স্যাকাও দিয়েছেন তার স্বামী। এ কারণে মুক্তার মা বাধ্য হয়ে জমি-জমাসহ বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ বিক্রি করে পর্যায়ক্রমে মেয়ের জামাতা সাব্বিরকে ২০ লাখ টাকা দেন। মুক্তাকে নির্যাতনের বিষয়ে এলাকায় একাধিক শালিস বৈঠক বসলেও কোনো সমাধান হয়নি। সর্বশেষ মুক্তার কাছে আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করে স্বামী যুবদলের নেতা সাব্বির। ওই টাকা দিতে অস্বীকার করলে ক্ষিপ্ত হন ওই যুবদলের নেতা ও তার পরিবারের লোকজন।

এর জের ধরে গত ২০ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী মুক্তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এ সময় তার স্বামী সাব্বির, দেবর শেখ কমুর উদ্দিন, দেবর শেখ কামরুজ্জামান ও ননদ মোমেনা ওই গৃহবধূ মুক্তাকে বেধরক মারধর করে। তার চিৎকারের আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে মুক্তাকে উদ্ধার করে। ওই রাতেই তাকে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় ২৩ আগস্ট উম্মে মুসলিমা মুক্তা বাদী হয়ে চারজনকে আসামী করে কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের করার পর গত ২৮ আগস্ট শেখ কুমুর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওইদিনই তিন আসামি শেখ সাব্বির আহম্মেদ কছিম, শেখ কামরুজ্জামান, মোসা. মোমেনা খাতুন উচ্চ আদালত থেকে অস্থায়ী জামিন নেন। এছাড়া গত মঙ্গলবার গাজীপুর জজ কোর্ট থেকে জামিনে বের হন দেবর কুমুর উদ্দিন। তারা জামিনে বের হয়েই ওই মামলার বাদী ও তার পরিবারকে নানাভাবে হয়রানী, নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে আসামীরা।

নির্যাতনের শিকার গৃহবধু উম্মে মুসলিমা মুক্তা জানান, যৌতুকের দাবিতে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। কিন্তু আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকিসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছে।

এ ঘটনায় থানায় আবারও তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করা হবে।

কালিয়াকৈর থানাধীন ফুলবাড়িয়া ক্যাম্পের ইনর্চাজ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুস সালাম জানান, বাদিকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads