• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
মিঠাপুকুরে ১‘শ ২৯ টি মন্দিরে চলছে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি

রংপুরের মিঠাপুকুরে শারদীয় দেবী দূর্গার আগমন উপলক্ষে চলছে প্রস্তুতি পর্ব গতকাল বুধবার উপজেলার কৃষ্ণপুর বকুল মন্দিরের

ছবিঃ রুবেল ইসলাম

সারা দেশ

মিঠাপুকুরে ১‘শ ২৯ টি মন্দিরে চলছে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি

  • মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

হিন্দু সম্প্রদায়ের সার্বজনীন সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে রংপুরের মিঠাপুকুরে এখন সাজ সাজ রব। সারা দেশের ন্যায় সার্বজনীনদেবী দূর্গার আগমন উপলক্ষে চলছে প্রস্তুতি পর্ব। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত রয়েছে রংপুরসহ মিঠাপুকুরে মৃৎশিল্পীরা।
উপজেলা কেন্দ্রীয় কালীবাড়ী মন্দির ও আদিদেব মন্দির ছাড়াও গ্রামগঞ্জে ইতি মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে, প্রতিমা ও পূজা মন্ডপ তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। স্থায়ী পূজামন্ডপগুলোতে মেরামতসহ রঙের কাজ চলছে। প্রায় সব মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। কোথাও কোথাও প্রতিমায় একাধিকবার মাটির প্রলেপ দেয়া হয়েছে। ফলে মৃৎশিল্পীদের এখন আর দম ফেলার সময় নেই।

উপজেলার কৃষ্ণপুর বকুল তলা গ্রামের মৃৎশিল্পী রনজিৎ মালাকর জানান, উপজেলার কেন্দ্রীয় কালীবাড়ী মন্দিরের মৃৎশিল্পী/মালাকর শ্রী শনি, আদিদেব মন্দিরের শ্রী সস্তোষ, চিথলী পশ্চিম পাড়ার মন্দিরের মৃৎশিল্পীসহ আরও কয়েক জন প্রতিমা তৈরীতে বিশেষ পারর্দশী মৃৎশিল্পীদের সাথে প্রতিমা তৈরি নিয়ে এই প্রতিনিধির কথা হলে তারা এবার শারদীয় দূর্গাপূজায় প্রতিমা তৈরিতে খরচ বৃদ্ধির কথা জানান।

মৃৎশিল্পী রনজিৎ মালাকর জানায় মূর্তি তৈরিতে ব্যবহৃত সরঞ্জাধির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার মূর্তি তৈরিতে এখন অনেক খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। সে প্রকার ভেদে মূর্তি প্রতি ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা মজুরী নিয়ে থাকে। তাছাড়াও এখন প্রতিমার পোশাক পরিছদ যেমন জর্জেটের শাড়ী, হরেক রকমের পুতি, চুমকি ও জরি কাজের লেস, ডাইমন্ড পুতি, গোল্ড চুমকি, সিটি গোল্ডের গহনা এ ধরনের সাজসাজ্জা কিনে আনতে ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা লেগে যায় যা আগে মাটি আর রং দিয়ে তৈরী হতো। প্যান্ডেল ও গেটের অবকাঠামো তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে ডেকরেটর ব্যবসায়ীরা।পূজা প্যান্ডেল তৈরীর কাজে শ্রমিকরা সারা দিন কাজ করে যাচ্ছে, বিশ্রাম নেওয়ার কোন সময় নেই।

মিঠাপুকুর উপজেলার কয়েক জন ডেকোরেটর ব্যবসায়ী কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন, এবার উপজেলায় শারদীয় দূর্গাপূজার গেট-প্যান্ডেলের কাজ করছি। গেট-প্যান্ডেলের ধরন অনুযায়ী ২৫ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে থাকি।

মিঠাপুকুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মিঠাপুকুর উপজেলা শাখার সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান নিরঞ্জন মহন্ত জানান, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় এবার মোট ১‘শ ২৯ টি পূজামন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

আইনশৃঙ্খলার অস্থা বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ জাফর আলী বিশ্বাস বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সার্বজনীন শারদীয় দূর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্র্রদায়ের যেন কোন প্রকার নির্বিঘ্ন না ঘটে যাতে করে আনন্দ মুখর পরিবেশে শারদীয় দূর্গাপূজা পালন করতে পারে তার জন্য আমরা সর্বাক্ত আইনশৃঙ্খলার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads