• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ভোলার মেঘনা, তেতুঁলিয়া ও ইলিশা নদীতে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ

ভোলার বন্ধ রয়েছে ইলিশ ধরার নৌকা

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

বরফকল সমূহে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিণ্ণের সিদ্ধান্ত

ভোলার মেঘনা, তেতুঁলিয়া ও ইলিশা নদীতে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ

  • ভোলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৮ অক্টোবর ২০১৯

ভোলার মেঘনা, তেতুঁলিয়া এবং ইলিশা নদীতে ২২ দিন ইলিশ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম নির্বিঘেœ রাখতে ৮ অক্টোবর মধ্যরাত ১২ টা থেকে ভোলার ইলিশা নদী থেকে চর ফেয়াল পর্যন্ত ১০০ কিলো মিটার ও ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তম পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার এলাকায় আগামী ৩০ অক্টোবর রাত ১২ পর্যন্ত এ সময় ইলিশ শিকার, পরিবহন, মজুত, বাজারজাত ও ক্রয়-বিক্রয়ও নিষিদ্ধ করা হয়।

ভোলা সদরের বিভিন্ন মৎস্যঘাট ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়ে অনেক জেলে নৌকা ও ট্রলার নদী থেকে উঠিয়ে নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ট্রলার থেকে ইঞ্জিন খুলে ও মাছ ধরার জাল বস্তা ভরে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।

ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা জংশন এলাকার জেলে মো. ইসমাইল হোসেন ও ফারুক বলেন, সরকার আমাদের ভালোর জন্য ২২ দিন নদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমরা তা সঠিকভাবে পালনের জন্য নৌকা ও ট্রলার উপরে উঠিয়ে নিচ্ছি। এই ২২ দিন নদীতে মাছ শিকারে যাব না।

রাজাপুর এলাকার জেলে হারুন মাঝি ও মহিউদ্দিন মাঝি বলেন, এ বছর সরকারের নিষেধাজ্ঞা সব জেলে মেনে চলবেন। কারণ মাছ ধরা বন্ধের আগে আমরা চাল পেয়েছি এবং সমিতির কিস্তির জন্য ব্যাংক ও এনজিওর অফিসাররা আমাদের তাড়া দেবে না। আমরা সরকারের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। এ বছর আমরা সঠিকভাবে সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলব।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম জানান ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ৩০ অক্টোবর রাত ১২টা ১ মিনিট পর্যন্ত মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীতে সব ধরনের মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এজন্য আমরা জেলেদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সতেচনামূলক সভা করেছি। আশাকরি এ বছর জেলেরা এ নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে পালন করবেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানিয়েছেন ইলিশের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ২২ দিনের জন্য ভোলার নদীতে মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কেউ এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে। জেলেরা যাতে এই নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে পালন করে এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এছাড়া এ ২২ দিনের জন্য এখানকার বরফকল সমূহের বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত ও নেয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এ সময় জেলেদের সংসার চালাতে যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য তাদের মাঝে সরকারিভাবে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও এ সময় ঋণগ্রস্ত জেলেদের কাছ থেকে যাতে ঋণের কিস্তি আদায় না করে সে জন্য সব এনজিও এবং ব্যাংককে চিঠি দেয়া হয়েছে। কোনো ব্যাংক ও এনজিও যদি এই নির্দেশ না মানে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads