• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
মেঘনায় অভিযানে ১২ জেলে আটক

লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ ধরায়র সময় আটককৃত জেলেরা

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

মেঘনায় অভিযানে ১২ জেলে আটক

 ৭ জনের সাজা

  • লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৪ অক্টোবর ২০১৯

লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ ধরার অপরাধে নৌ পুলিশ, কোষ্টগার্ড মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসনের যৌথ অভিযানে রামগতি থেকে ৫ জন, লক্ষ্মীপুর সদরে ২ জন ও রায়পুর থেকে ৫ জেলেকে আটক করা হয়।

আটককৃতদের মধ্যে রায়পুরের ৫ ও সদরের ২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারকগণ। রামগতির ৫ জনকে জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেওয়া হয়।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মহিব উল্যা সাংবাদিকদের জানান, রোববার রাত থেকে আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত জেলার রামগতি উপজেলার মেঘনা নদীর চর গজারিয়া এলাকা থেকে নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ ধরার সময় ৫ জন কে আটক করে। আটককৃতরা হলেন, মো: সোহাগ, মো: রাকিব, মো: লিটন, মো: জিয়া উদ্দিন, মাহে আলম।

পরে তাৎক্ষনিক ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মোমিন ও সহকারী কমিশনার ভূমি সৌচিত্র রঞ্জন দাস পৃথক পৃথক আদালত বসিয়ে আটককৃত ৫ জনকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে। এসময় আটককৃত একটি মাছ ধরার নৌকা স্থানীয়দের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমান আদালত।

এ ছাড়া রায়পুর উপজেলায় মেঘনা নদীতে মাছ ধরার সময় মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন, মো: খোরশেদ, মো: জাহাঙ্গীর, আনোয়ার হোসেন, মো: সুমন, মো: খোরশেদ। পরে তাদের তাৎক্ষনিক ভ্রাম্যমান আদালত ১ মাস করে কারাদন্ড প্রদান করে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিন চৌধুরী এই রায় প্রদান করেন।

অপর দিকে নৌপুলিশ ও মৎস্য বিভাগ সদর উপজেলার চর রমণী মোহন এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে আবদুল আজিজ ও হেদায়েত খান নামে ২ জেলেকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল ২ জনকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করার আদেশ দেন। এসময় ৪ হাজার মে:টন কারেন্ট উদ্ধার করা হয়। পরে সেগুলো পুঁড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদী অববাহিকায় ১০০ কিঃমিঃ এলাকায় পর্যন্ত ২২দিন নদীতে মাছ ধরা, আহোরণ, বাজারজাতকরণ, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।আশ্বিনের পূর্ণিমার জোয়ার ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম। ইলিশ ডিম ছাড়ার সময় হলে সাগরের লোনা পানি থেকে ভোলা, বরিশাল, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকার মিঠা পানিতে প্রবেশ করে। প্রজননের পর ডিম থেকে উৎপাদিত লাখ লাখ পোনা প্রথমে জাটকা এবং পরে বড় ইলিশে পরিণত হয়। তাই ইলিশ মাছের অবাধ প্রজনন ও ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে এ বছর বছর (০৯ অক্টোবর ২৪আশ্বিন থেকে-৩০ অক্টোবর ১৪ কার্তিক ) সর্বোচ্চ প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা নিষেধ

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads