• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ভূয়া ডাক্তারের রমরমা বানিজ্য

ভূয়া ডাক্তার সোলায়মান হোসেন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

সংবাদ প্রকাশের পরেও প্রশাসন নিরব

ভূয়া ডাক্তারের রমরমা বানিজ্য

  • বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৪ অক্টোবর ২০১৯

জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে "সনদ নেই তবুও লেখেন ডাক্তার" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পরেও কথিত ডাক্তারের রমরমা বানিজ্য চালিয়ে আসছে ছালমা ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী সোলায়মান হোসেন।

তিনি সোলেমান ডাক্তার নামে পরিচিত। প্রতিদিন সে সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত দেদারসে রোগী দেখে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। অপারেশন করার যোগ্যতা না থাকলেও প্রায়ই করছেন অপারেশনের মত অপচিকিৎসা। এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর, ঐ ডাক্তারের বিরুদ্ধে জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নিকট তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। তা অজ্ঞাত কারনে এখনও তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়নি বলে জানা যায়।

উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের রান্ধুনীবাড়ী গ্রামের সাইদুল ইসলাম জানান, আমার স্ত্রীর পাইলসের সমস্যা ছিল। বেশ কয়েকজন ডাক্তার দেখিয়েছি। কিন্তু তাতে তার কোন উন্নতি হয় নাই। মানুষের মুখে শুনে ডাঃ সোলায়মানের কাছে এসেছি, উনি নাকি খুব ভালো ডাক্তার। অপারেশনও করেছে ৫ হাজার টাকার বিনিময়। তবে অপারেশন করার বিষয়টি অস্বীকার করে কথিত ডাঃ সোলায়মান হোসেন এই প্রতিবেদকের কাছে প্রথমে অপারেশন করেন না বলে জানান। পরক্ষনে রোগীর স্বামীর অপারেশন করার স্বীকারোক্তির ভিডিও ক্লিপ দেখালে অপারেশন করার কথা স্বীকার করেন। তবে ভবিষ্যতে এ ধরণের কাজ করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও অজ্ঞাত কারণে এখনও হরহামেশাই এ ধরনের কাজ করে আসছেন।

এদিকে বিষয়টি সম্পর্কে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ জাহিদুল ইসলাম জানান, আমরা সালমা ক্লিনিকের বিষয়টি বিভিন্ন পত্র পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তারই ফলশ্রুতিতে আমরা বিষয়টি তদন্তর জন্য স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তার উপর ন্যাস্ত করেছি। তিনি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

অপরদিকে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুব হোসেন জানান, আমরা জেলা সিভিল সার্জন মহোদয়ের নিকট থেকে সালমা ক্লিনিকের উপরে তদন্ত করার নির্দেশ পেয়েছি। তদন্তর জন্য আমরা ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছি। তবে আমরা যথা সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারিনি। তবে খুব দ্রুত আমরা জেলা সিভিল সার্জন মহোদয়ের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads