• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪২৮
চাঁদপুরে ফের ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন

বালু বোঝাই জিও ব্যাগ ভাঙ্গন স্থানে ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

হুমকির মুখে শহর রক্ষাবাঁধ

চাঁদপুরে ফের ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৫ অক্টোবর ২০১৯

চাঁদপুরে পুরান বাজার হরিসভা মন্দির এলাকায় আবারও ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

গতকাল সোমবার সন্ধায় শহর রক্ষা বাঁধের ৪০ মিটার এলাকার সিসিব্লক দেবে গেছে। অন্তত ৮টি বসতঘর নদীতে বিলিন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে পুনরায় ছড়িয়ে পড়ে নদীভাঙ্গন আতঙ্ক।

এমন পরিস্থিতিতে হরিসভার আশপাশের বেশ কিছু বসতবাড়ি ও দোকানপাট নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান (পিপিএম বার), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারন সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোঃ জামাল হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।

এলাকা বাসিন্দারা জানান হঠাৎ করেই মন্দিরের উত্তর পশ্চিমপাশে নদীপাড়ে শহর রক্ষা বাঁধের বেশকিছু সিসিব্লক তলিয়ে যায়। এ সময় বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি ও দোকানপাট নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।

এদিকে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই একের পর এক বলগেট বোঝাই জিও ব্যাগ বোঝাই বালুর বস্তা ভাঙ্গন স্থানে ফেলাতে দেখা যায়। তাৎক্ষণিক ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়নে প্রায় ৩ হাজার বালু ভর্তি জিও টেক্সটাইল বস্তা ফেলানো শুরু হয়েছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান।

জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান ক্ষতিগ্রস্থদের উদ্দেশ্যে বলেন , আতংকিত হবেন না। জরুরি ভিত্তিতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, রাতে হঠাৎ করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। হরিসভা এলাকার পুরো শহর রক্ষা বাধই হুমকির মুখে। আমরা ভাঙ্গন রোধে তাৎক্ষনিক বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফলানো শুরু করেছি। এখন মজুদকৃত ৩ হাজার বস্তা বালু ভর্তি জিও ব্যাগ পেলানো কাজ এগিয়ে চলছে।

উল্লেখ্য, গত দুই মাস আগে হরিসভার এই এলাকায় আরেক দফা মেঘনার ভাঙ্গনের শিকার হয়। তখন প্র্রায় তিন শত মিটার শহর রক্ষা বাঁধ নদীতে দেবে যায় প্রতিবারই পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন ঠেকাতে কাজ করেছেন। আবারও সেখানে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় হরিসভা, মধ্য শ্রীরামদী ও পশ্চিম শ্রীরামদী এলাকাটি এখন মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads