• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
কাউসার হত্যায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

কাউসার হত্যায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

  • দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৭ অক্টোবর ২০১৯

পূর্ব বিরোধের জেরে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত দূর্গাপুর উপজেলার নবীন লীগের সভাপতি ও ছাত্রলীগ কর্মী গ্যারেজ মালিক কাউসার হত্যাকাণ্ডে দূর্গাপুর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক নাজমুল হাসান নিরা ওরফে সাদ্দাম আকুঞ্জি ও জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ইমাম হোসেন আবু চাঁনসহ ২২ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের বড় ভাই স্বপন তালুকদার বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করে থানায় মামলাটি করেন। এদিকে ঘটনার পরপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হাতে আটক পাঁচজনকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দূর্গাপুরের সাবেক এমপি জালাল তালুকদারের ভাতিজা কাউসার তালুকদারের সাথে মাঝিয়াল গ্রামের মঞ্জুরুল হকের ছেলে সাবেক ছাত্রদল নেতা মেহেদি হাসন সাহসের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে সাহসের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী গত মঙ্গলবার রাতে পৌর শহরের দক্ষিণপাড়া মোড়ে কাউসারের গ্যারেজে ঢুকে হকিষ্টিক দিয়ে বেদম মারপিট করে। এসময় কাউসার দৌড়ে বের হতে চাইলে মবিলের উপর পিছলে পরে যায় এবং সন্ত্রাসীদের দায়ের কোপে মাথায় আঘাত লাগে। তার চিৎকার চেঁচামেচিতে আশপাশের মানুষ এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা কাউসারকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে দ্রƒত ময়মনসিংহে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক। রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল মারা যান কাউসার।

এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। পুলিশ রাতেই সাহসের দাদা জেলা বিএনরি সহ সভাপতি ইমাম হোসেন আবু চাঁন, চাচা জুলহাস ও ভাই পরশকে আটক করে। পরদিন বুধবার সকালে আরো দুজনকে আটক করা হয়। দিনভর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে। বুধবার রাতে দুটি জানাযা শেষে কাউসারের দাফন সম্পন্ন হয়।

দূর্গাপুর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আটকদের কোর্টে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads