• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
স্ত্রীকে উঠিয়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা!

নরসিংদীর রায়পুরার আমিরগঞ্চে স্ত্রীকে উঠিয়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে শফিকুল ইসলাম (২৫) নামে এক মোবাইল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুবৃত্তরা

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

স্ত্রীকে উঠিয়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা!

  • নরসিংদী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ অক্টোবর ২০১৯

নরসিংদীর রায়পুরায় স্ত্রীকে উঠিয়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে শফিকুল ইসলাম (২৫) নামে এক মোবাইল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দুটি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়য়নের মোল্লা বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কথিত স্ত্রী রহিমাকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত শফিকুল ইসলাম (২৫) শিবপুর উপজেলার কুন্দারপাড়া গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে। সে নরসিংদী ইনডেক্স প্লাজায় মোবাইল সাভিসিং এর ব্যবসা করতো।

পুলিশ ও প্রতক্ষ্যদশী সূত্রে জানা যায়, নিহত শফিকুল ইসলামের সাথে শহীদ আসদ কলেজের এইচ এস সি ২য় বর্ষের ছাত্রী রহিমার কাবিন হয়। এর জের ধরে গত সপ্তাহে স্ত্রী রহিমা আক্তারকে উঠিয়ে নিতে আসে। কিন্তু শ্বশুরবাড়ীর লোকজনের সাথে বনিবনা না হওয়ায় তারা মেয়েকে উঠিয়ে দিতে রাজি হয়নি। এর জের ধরে আজ বুধবার দুপুরে নিহত শফিকুল ইসলাম পুনরায় লোকজন নিয়ে তার কথিত স্ত্রীকে উঠিয়ে আনতে যায়। ওই সময় মেয়ের বাড়ীর লোকজন মেয়েকে দিতে রাজি হয়নি। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপযায়ে মেয়েকে জোড়পূর্বক উঠিয়ে আনার চেষ্টা করে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে কথিত স্ত্রীর লোকজন শফিকুলকে ধরে এলোপাথারী ছুরিকাঘাত করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে রায়পুরা থানা পুলিশ এসে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।

তবে নিহত শফিকুল ইসলামের কথিত স্ত্রী রহিমা আক্তারকে দাবী করেন, নিহত শফিকুল ইসলাম কলেজ থেকে টিসি তুলে দেওয়ার কথা বলে একটি কাগজে সই নেয়। পরে তা এফিডেফিড করে বিয়ে সম্পাদন করে। এরপর থেকে সে নিয়মিত তাকে ব্ল্যাকমেইল করতো। তার কাছে ৫ লক্ষ টাকাও দাবী করেন বলে জানায় । সর্বশেষ বুধবার দুপুরে সে লোকজন নিয়ে আমাকে উঠিয়ে নিতে আসে। এরমধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়ে যায়। তবে কিভাবে মারা গেছে জানতে চাইলে তার কোন উত্তর দিতে পারে তিনি।

নিহত শফিকুল ইসলামের বাবা খোরশেদ মিয়া বলেন, মেয়েটি আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে আসে। পরে ষড়যন্ত্র করে তাকে খুন করে।

আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান মিল্লাত হোসেন মৃধা বলেন, ককটেলর শব্দ শুনে দৌড়ে এসে দেখি রাস্তার পাশে একটি লাশ পড়ে থাকে। খবর পাই মেয়ের বাড়ীতে তাদের পক্ষের লোকজনের সাথে নিহতের লোকজনের সংঘর্ষ হয়। এবং মেয়েটিকে জোড়পূর্বক তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। এরই জেরে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, মেয়েটির সাথে নিহতের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। হত্যার ঘটনাটি এখনো স্পষ্ট নয়। তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বলা যাবে কি কারণে হত্যা সংঘঠিত হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads