• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
রাবির দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকদের আন্দোলন চলমান

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

রাবির দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকদের আন্দোলন চলমান

  • রাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৪ নভেম্বর ২০১৯

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসনকে দুর্নীতিবাজ উল্লেখ করে অপসারণের দাবিতে ৮ম দিনের মত মানববন্ধন করেছে প্রগতিশীল শিক্ষকদের একাংশ। ‘দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজ’ এর ব্যানারে আজ সোমবার দুপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মানববন্ধনে ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজার সঞ্চালনায় আাইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, নিয়োগ বাণিজ্যের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বর্তমান প্রশাসন। নিজের জামাই ও মেয়েকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্য নিয়োগ নীতিমালারও পরিবর্তন করেছে তারা। তাই উপাচার্যের মেয়ে বিভাগে ২২তম এবং তার জামাই ৬৭তম হওয়ার পরও শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে। অথচ বিভাগের প্রকৃত মেধাবী, যারা প্রথম-৭ম স্থান অধিকারী, তারা বঞ্চিত হয়েছে।

ড. চন্দ আরো বলেন, শিক্ষক নিয়োগের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে নিয়োগ নীতিমালা ছিল, সেটা বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ নীতিমালা। সেটিই অনুসরণ করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন সমগ্র বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা তৈরি করেছে। সেই নীতিমালাকে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসে তার মেয়ে ও মেয়ের জামাইকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য নীতিমালাকে নামিয়ে নিয়ে এনেছেন। যদি বাণিজ্য অনুষদের নিয়োগ নীতিমালা দেখেন সেখানে একটাতে ৩.৫০ এবং আরেকটাতে ৩.২৫ করা হয়েছে। অথচ আগে ছিলো দুইটাতেই ৩.৫০ পেতে হবে। সেই সাথে বিভাগে ১ম-৭ম স্থানের মধ্যে থাকতে হবে। কিন্তু ব্যক্তি স্বার্থকে সামনে নিয়ে এসে এ নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। এটা কি দুর্নীতি না ?

এ সময় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এক্রামউল্লাহ বলেন, ৯ অক্টোবর দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে আমার বিরুদ্ধে বহিরাগত ছেলেদের নিয়ে আসার অভিযোগ তুলে আমার নামে তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কোন রকম প্রমাণ ছাড়াই আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি আপনারা ভালোভাবে তদন্ত করেন। যদি আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে আমার হাত-পা ধরে ক্ষমা চাইতে হবে। সৌন্দর্যবর্ধনের নামে কৃষি প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ লক্ষ টাকা লুটপাট করেছেন। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা, জনগনের ট্যাক্সের টাকা। এভাবে এ টাকা অহেতুক কাজে খরচ করার অধিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের নাই।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক মুজিবুল হক আযাদ খান, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তরিকুল ইসলাম, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এস এম হায়দার, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ড. মো. জিন্নাত আরা বেগম, গণিত বিভাগের অধ্যাপক আসাবুল হক, সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মিজানুর রহমান, প্রাণ রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান ও উপ-উপাচার্যের ‘দরকষাকষি’র অডিও ফাঁসের পর অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের অপসারণ দাবি করেছেন প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের একাংশ। গত ৩ অক্টোবর থেকে বর্তমান প্রশাসনের অপসারণ দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন তারা। এর আগে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে বর্তমান প্রশাসনের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা সপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্পতিবার কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads