• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
ঘোড়াঘাটে অর্থের বিনিময়ে স্কুলের জায়গা অন্যের দখলে দেওয়ার অভিযোগ

ফাইল ছবি

সারা দেশ

ঘোড়াঘাটে অর্থের বিনিময়ে স্কুলের জায়গা অন্যের দখলে দেওয়ার অভিযোগ

  • ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৩ নভেম্বর ২০১৯

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট কে.সি পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দাতা কৈলাশ চন্দ্রের স্কুলের নামে অর্পিত সম্পত্তি অর্থের বিনিময়ে অন্যের দখলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ঘোড়াঘাট পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জনিব হাসান।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও অধ্যক্ষসহ কতিপয় শিক্ষক বিদ্যালয়টির পাঠদানের সীমানার জায়গাসহ নিজস্ব সম্পত্তির ঘোড়াঘাট বাস স্ট্যান্ডে অবস্থিত ফুটবল খেলার মাঠ ও লিচুর বাগানের কিছু জায়গা একাধিক ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে । এছাড়া বিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত ১৫৬, ১৫৭ ও ১৯৪ দাগের ১ নং (খ) খতিয়ানভুক্ত এক একর বিরানব্বই শতক (০১-৯২) জায়গা বিদ্যালয়ের আওতাভুক্ত থাকলেও আর্থিক লেনদেন করে এর কিছু আংশিক জায়গা কতিপয় ব্যক্তিকে ছেড়ে দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছে  বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি আ. কাফি বলেন, আমি কয়েক মাস আগে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছি। আমার আগের ম্যানেজিং কমিটির দায়িত্বকালে আমাদের প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন নিজস্ব আম বাগানের কিছু অংশ দখল করে নিয়ে ঘর-বাড়ি তোলে স্থানীয় আফসার উদ্দীন, শাহানুর, জুয়েল, মিজানুর ও ওয়াদুদ সহ আরো অনেকে।

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. লুৎফর রহমান বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের নামে অর্পিত সম্পূর্ণ সম্পত্তি আমাদের দখলেই রয়েছে। এখানে কেউ কোনো জায়গা ভোগ দখল করেনি।

প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি আ. রহিম মিয়া বলেন, প্রতিষ্ঠানের জায়গাটি সরকারী খাস জায়গা। দীর্ঘদিন থেকে প্রতিষ্ঠান তা নিজেদের দখলে রেখেছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের দখলে থাকাকালীন সময়ে প্রতিবেশি কিছু লোকজন সেখানে ঘরবাড়ি তোলে। পরে আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দিনাজপুরের ডিসি বরাবর অভিযোগ দেই। পরে জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়, যেহেতু জায়গাটি সরকারের খাস জায়গা। সেহেতু আশেপাশের দখলকৃত জায়গার মূল্যে দখলকারীদেরকে পরিশোধ করে প্রতিষ্ঠানকে তা আবার নিজেদের দখলে নিতে হবে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের তেমন অর্থ না থাকায় আমরা তা ফেরত নিতে পারিনি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ. সাত্তার সরকার জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়,তবে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads