• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
নরসিংদীতে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ ডাকাত নিহত

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

নরসিংদীতে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ ডাকাত নিহত

  • নরসিংদী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৫ নভেম্বর ২০১৯

নরসিংদীর শিবপুরে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর বন্ধুকযুদ্ধে ডাকাত সর্দার রাজ্জাক মিয়া (৩৯) নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে পুলিশের ৩ সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহম্পতিবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার তেলিয়া শ্মশান ঘাটে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত রাজ্জাক জেলার শিবপুর উপজেলার মৃত রফিজ উদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে নরসিংদী ও শিবপুরসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, দ্রুত বিচার আইনে ১৬টি মামলা রয়েছে।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধানুয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ডাকাত রাজ্জাক মিয়াকে গ্রেপ্তার করে শিবপুর থানা পুলিশ। পরে রাতে তাকে নিয়ে সহযোগীদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। ওই সময় রাজ্জাকের দেয়া তথ্যমতে ডাকাতদের ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের জন্য শিবপুরের দক্ষিণ সাধারচর ও সৈয়দের খোলা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। কিন্তু কোথাও অস্ত্র না পেয়ে রাত ১২টার দিকে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তেলিয়া শালুরদিয়া শ্মশানঘাট এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। ওই সময় তার সহযোগীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় রাজ্জাক মিয়া পালানোর সময় দুই পক্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়।

এ সময় এসআই মনির হোসেন, কনস্টেবল মশিউর রহমান ও আনিসুর রহমান পড়ে গিয়ে আহত হয়। আহতদেরকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজ্জাক মিয়াকে মৃত ঘোষণা করে। বাকী পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

নরসিংদী জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মিজানুর রহমান বলেন, রাজ্জাককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার কপালে, বুকের ডান পাশে ও বাম পাশে একাধিক পেনেট্রেটিন ইনজুরি রয়েছে। এর ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। এটা গানশর্ট ইনজুরি কিনা তা ময়নাতদন্তে বেরিয়ে আসবে।

খবর পেয়ে সকালে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে আসেন নিহত রাজ্জাকের পরিবারের স্বজনরা। তারা জানায়, নিহত রাজ্জাকের ৫ সন্তান রয়েছে। সে গাড়ির চালক ছিলেন। তারা অভিযোগ করেন, পুলিশ রাজ্জাককে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করে বন্ধুকযুদ্ধের দাবি করছে।

নিহতের স্ত্রী আহাজারি করতে করতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশ সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আমার জামাইকে মেরে ফেলেছে। এখন আমি এই সন্তানদের নিয়ে কোথায় যাব।’

এদিকে শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা আজিজুর রহমান পুলিশ প্রহড়ার মধ্য দিয়ে নিহতের লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়। ওই সময় কোন সংবাদকর্মীদের মর্গে নিহতের চিত্র ধারণ করতে দেয়া হয়নি।

জানতে চাইলে ওসি আজিজুর রহমান বলেন, ডাকাতদের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে পুলিশ ১২ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ব্যবহার করেছে। তবে আমাদের ধারণা, ডাকাত রাজ্জাক অপর ডাকাতদের গুলিতে সে নিহত হয়েছে। এই ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ সময় তিনি স্বজনদের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads