সখীপুর পৌর শহরে অবস্থিত উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চলছে মাত্র একজন ফার্মাসিস্ট দিয়ে। ফলে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসা রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। মাঝেমধ্যে ওই ফার্মাসিস্টকে ঝাড়ুদারের কাজও করতে হয়। ওই কেন্দ্রে চিকিৎসক, মেডিক্যাল এসিস্টেন্ট ও মিডওয়াইফ থাকার কথা থাকলেও তারা প্রেশনে অন্যত্র কাজ করছেন। সেবা নিতে আসা রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার নিয়ম না থাকলেও সাইফুল আলম নামের ওই ফার্মাসিস্ট প্রতিদিন রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল রতন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগদানের পর থেকেই টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজে প্রেশনে চলে যান। মেডিক্যাল এসিস্টেন্ট গুলশান নাহার কনা প্রেশনে বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছেন। মিডওয়াইফ নার্স অঞ্জনা বালা মন্ডল স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেশনে আছেন। অথচ প্রতিদিন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই ৫০-৭০ জন রোগী সেবা নিতে আসেন। এমএলএসএস মুন্নি বেগমকে নিয়ে রোগীদের সেবা দিতে নিয়মিত হিমশিম খেতে হয় ফার্মাসিস্ট সাইফুল আলমকে।
ফার্মাসিস্ট সাইফুল আলম বলেন, প্রতিদিন এত রোগী আসে যে, আমার একার পক্ষে সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে যায়। বিশেষ প্রয়োজন হলেও ছুটি নিতে পারিনা। এমএলএসএস ছুটি নিলে অফিস ঝাড়ু দেওয়ার কাজটাও আমাকেই করতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বেলায়েত হোসাইন বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রেশনে থাকায় স্বাস্থকেন্দ্রটিতে সঠিক সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা।