• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪২৮
দুর্গাপুরে স্বাভাবিক হচ্ছে নিত্যপণ্যের বাজার

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

দুর্গাপুরে স্বাভাবিক হচ্ছে নিত্যপণ্যের বাজার

  • দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২১ নভেম্বর ২০১৯

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বাজার। এর আগে কয়েক দফায় পেঁয়াজের মূল্য বাড়ায় অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি হয় বাজার গুলোতে। তার উপর আবার নতুন করে লবণের গুজব অনেকটাই প্রভাব ফেলে গ্রামের সাধারন মানুষের মাঝে। তবে প্রশাসনের কার্যকারী ভূমিকা ও বাজার মনিটরিং করায় পুরোপুরি স্বাভাবিক পথে বাজার গুলো।

আজ বৃহস্পতিবার পৌর শহরের বউ বাজার, মাছ’য়া বাজার, উৎরাইল বাজার, শিবগঞ্জ বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টানা দফা দাম বাড়ার পর দাম কমতে শুরু করছে পেঁয়াজের বাজার। স্থানীয় ভাবে যেমন একটা পেঁয়াজ আবাদ না হওয়ায় বাহিরের পেঁয়াজ দিয়ে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা। নতুন করে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা থেকে দেশী পেঁয়াজ বাজারে আসলেই বাজার পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে আগের অবস্থায় ফিরে আসবে মনে করছে ব্যবসায়ীরা। তবে বাজার গুলোতে এখনো শুরু ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।

এই দিয়ে পুরোপুরি স্বাভাবিক উপজেলার লবণের বাজার গুলো। প্রশাসনের বাজার মনিটরিং ও অভিযান অবহৃত থাকায় গুজব কাটিঁয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে বাজার গুলো। কিন্তু গুজবের ফাদেঁ পড়ে গ্রামের সাধারণ মানুষ তড়িঘড়ি করে লবণ কেনায় এখন বাজার গুলোতে অনেকটাই কমে গেছে লবণ বেচা কেনা। তবুও কোনো ব্যবসায়ী যাতে নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে লবণ বিক্রয় না করতে পারে তার জন্য প্রশাসন ও ব্যবসায়ী সমিতির যৌথ উদ্যোগে বাজারের বিভিন্ন স্থানে মূল্য তালিকা লাগিয়েছে ব্যবসায়ী। বাজারে গুলোতে কেটাগড়ি অনুযায়ী খোল লবণ ১২ টাকা, রূপালী ১৪ টাকা, চিংড়ি ১৮ টাকা, পূবালী সাইন ৩০ টাকা ও এসিআই লবণ ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে।

এছাড়া অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মাঝে রসুন ১৫০-১৭০ টাকা, আদা ১৬০-১৮০ টাকা, চিনি ৫৮ টাকা, সুয়াবিন তেল ৯০ টাকা, পামওয়েল ৭৫ টাকা, কোয়ালিটি ৭৮ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। তবে এখনো কিছুটা অস্থিতিশীল রয়েছে কাচাঁ শাক-সবজির বাজার গুলো। স্থানীয় শীতকালীন নতুন সবজি এখনো বাজারে না আসায় কিছ’টা দামে বিক্রয় হচ্ছে আমদানি করা সবজি গুলো। এর মাঝে আলু ৩৫-৪০ টাকা, নত‍ুন আলু ১০০-১২০ টাকা, বেগুন ২০-৩০ টাকা, আমদানি করা শিম ৫৫-৬০ টাকা, দেশী শিম ৭৫-৮৫ টাকা, আমদানি করা টমেটো ৮০ টাকা, দেশী টমেটো ১২০ টাকা, করলা ৪০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রয় হচ্ছে।

আব্দুল আজিজ নামে এক ক্রেতা জানায়, আমরা প্রতিদিনই নৈতপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করতে হয়ে। কিন্তু যেভাবে দ্রব্যমূল্যের বাড়ে তাতে করে আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যায়। যদি প্রশাসন নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে তাহলে কিছুটা হলেও বাজার স্বাভাবিক থাকবে।

দুর্গাপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাপ্পী সাহা জানায়, আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে লবণের মজুত রয়েছে। আসলে একটি মহল বাজার অবস্থা অস্থিতিশীল করতেই লবণের গুজবের সৃষ্টি করেছে। তবে আমরা ব্যবসায়ী সমাজ এই গুজব প্রতিহত করেছি। ইতি মধ্যে প্রশাসনে সাথে সমন্বয় রেখে লবণের একটি মূল্য তালিকা তৈরী করে বাজারের বিভিন্ন স্থানে লাগিয়েছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads