• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
১৭ বছরেও হয়নি এমপিওভুক্তি

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

রৌমারী মহিলা ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি শাখা

১৭ বছরেও হয়নি এমপিওভুক্তি

  • প্রকাশিত ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার নারী উচ্চ শিক্ষার একমাত্র বিদ্যাপিঠ মহিলা ডিগ্রী কলেজ। উপজেলা সদরে অবস্থিত মহিলা কলেজের ডিগ্রি শাখা এবারেও এমপিওভুক্তি হয়নি। এমপিওর সব শর্তপূরণ করে প্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি শাখার শিক্ষক ও কর্মচারীরা দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে অপেক্ষা করছে। সরকার ঘোষিত সদ্য এমপিওভুক্তির তালিকায় প্রতিষ্ঠানটির নাম স্থান না পাওয়ায় হতাশ ডিগ্রি স্তরের সব শিক্ষক কর্মচারীসহ এলাকাবাসী। এই উপজেলার উচ্চ নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে মহিলা কলেজের ডিগ্রি শাখার বিএ ও বিএসএস স্তরকে এমপিওভুক্তির জন্য দাবী জানানো হয়েছে।

রৌমারী মহিলা ডিগ্রি কলেজ ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর এইচএসসি স্তরে ১৯৯৯ সালে এমপিওভুক্তি হয়ে সুনামের সঙ্গে এলাকার নারী শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০২ সালে ডিগ্রি স্তরের বিএ ও বিএসএস শাখা খোলার উদ্যোগ নেয় করে কলেজ পরিচালনা পর্ষদ। ২০০৭/০৮ সালে কলেজটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি স্তর খোলার স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৯৬ সালের তৎকালীন সরকারের অনুদানে নির্মিত ৪তলা ভবনে বর্তমানে পাঠদান চলছে। প্রতিষ্ঠানে রয়েছে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও মাল্টিমিডিয়া শ্রেণীকক্ষ। এখানে রয়েছে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র। প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে ৪ শতাধিক নারী শিক্ষার্থী। গত ২০১০ সাল থেকে শিক্ষার্থীরা ডিগ্রি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ভালো ফলাফল লাভ করে এলাকা ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম বাড়িয়ে দিলেও সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত শিক্ষক ও কর্মচারিরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন গোটা পরিবার নিয়ে।  পিছিয়ে পড়া নারী জনগোষ্ঠী দীর্ঘ ৫ ঘন্টার ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ী দিয়ে জেলা সদর তথা দুরে কোন শহরে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পাঠাতে ভয় পায় অভিভাবক মহল।

নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে প্রতিষ্ঠানটি ডিগ্রি শাখাকে এমপিও ভুক্ত করতে প্রধান মন্ত্রীর সুনজর দাবী করেছেন শিক্ষক কর্মচারীরা।

কলেজের অধ্যক্ষ মোমদেল হোসেন মন্ডল বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আমাদের শিক্ষকরা খেয়ে না খেয়ে প্রতিষ্ঠানে শ্রম দিয়ে আসছে। তাদেরও সংসার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। অন্য শিক্ষকদের মতো সংসার খরচ, সন্তাদের লেখাপড়া, পরিবারের সবার চিকিৎসার খরচ বহন করতে হয়। আমাদের শিক্ষকরা চাকরি করে ঠিকই কিন্তু বেতন পায় না। তারা যেন জীবন্ত লাশের মতো জীবন অতিবাহিত করছেন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে। আর কতদিন তাদের অসহায় জীবন চলবে।

কলেজের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান বলেন, শিক্ষকরা দীর্ঘ ১৭ বছর বেতন না পেয়ে কিভাবে চলছে জানি না। তবে শিক্ষার মানসহ প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম যদি ভালো থাকে অতি জরুরি এমপিওভুক্তির আওতায় আনার চেষ্টা করা হবে। যেহেতু বর্তমান সরকার শিক্ষার দিকে অনেক গুরত্ব দিচ্ছেন।

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads