• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
দেশে অবৈধ মোটরসাইকেল চালক প্রায় ১৩ লাখ

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

দেশে অবৈধ মোটরসাইকেল চালক প্রায় ১৩ লাখ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯

অবৈধ মোটরসাইকেল চালক ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনে ভরে গেছে রাজধানী। এতে যেমন বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে, তেমনি সমস্যায় পড়ছেন যাত্রী ও পথচারীরা।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সূত্র জানায়, দেশে মোট মোটরসাইকেলের সংখ্যা ২৬ লাখ ৬৮ হাজার ১২৩টি। অথচ এর মধ্যে পেশাদার ও অপেশাদার মিলে মোট ১৩ লাখ ৮৮ হাজার ৮৭ জনের লাইসেন্স আছে। ১২ লাখ ৮০ হাজার ৩৬টি মোটরসাইকেল চলে অবৈধ চালকের হাতে। পেশাদার লাইসেন্স আছে মাত্র এক লাখ ৭০ হাজার ২৭৩ জনের। এর মধ্যে আবার ১৫১ জন নারী। অন্যদিকে ১২ লাখ ১৭ হাজার ৮১৪ জন চালকের অপেশাদার লাইসেন্স রয়েছে। এর মধ্যে নারী চালকের সংখ্যা সাত হাজার ৭৮৮ জন।

সূত্র আরো জানায়, দেশে বর্তমানে মোট বাসের সংখ্যা ৪৬ হাজার ৭০২টি। এর মধ্যে ফিটনেস আছে ২৮ হাজার ১৪৯টি বাসের। বাকি ১৮ হাজার ৫৫৩টি বাসের কোনো ফিটনেস নেই বা আনফিট।

জানা গেছে, রাজধানীতে অ্যাপভিত্তিক রাইড সার্ভিস চালু হওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন মোটরসাইকেল রাস্তায় নামছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সম্প্রতি রাজধানীর বিজয় সরণিতে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে আহত ইডেন কলেজের ছাত্রী আকলিমা আক্তার জুঁই (২৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রাইড শেয়ারিং অ্যাপভিত্তিক প্রতিষ্ঠান উবারের মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন জুঁই।

২০২০ সালের জুনের পর থেকে ফিটনেবসবিহীন বাস ও অবৈধ মোটরসাইকেল চালকদের কোনো ছাড় দেবে না বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। হাতে প্রায় সাত মাস সময় আছে। এর মধ্যে বাসের ফিটনেস ফিরিয়ে আনতে হবে। তা না হলে সড়কে ফিটনেসবিহীন পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে বিআরটিএ। একই সঙ্গে কোনো মোটরসাইকেল চালক লাইসেন্স না নিলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। তাই সাত মাসের মধ্যেই লাইসেন্স করার নির্দেশ দিয়েছে বিআরটিএ।

বিআরটিএ সচিব এ কে এম মাসুদুর রহমান বলেন, ফিটনেসবিহীন বাস ও অবৈধ মোটরসাইকেল চালকদের কারণে সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা। আমরা এদের আর ছাড় দেব না। ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত আমরা সময় বেঁধে দিয়েছি। এরপরে ফিটনেসবিহীন বাস সড়কে পাওয়া গেলেই ডাম্পিংয়ে দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে জুনের পরে কোনো বাইকার লাইসেন্স ছাড়া সড়কে উঠতে পারবে না। তাদের জন্যও একই ধরনের আইন প্রয়োগ হবে।

তিনি বলেন, শুধু বাস নয়, ফিটনেসবিহীন অন্যান্য সব যানবাহনের জন্যও একই আইন প্রয়োগ করব। যেসব চালক হালকা যানবাহনের লাইসেন্স নিয়ে ভারী যানবাহন চালাচ্ছে, তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। জুনের মধ্যে সবাইকে ধরে ফেলব। সবক্ষেত্রেই কড়াকড়ি, কোনো ছাড় নেই। আইন কড়াকড়িভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।

বিআরটিএ সূত্র জানায়, ঢাকা শহরে প্রায় সাত লাখ মোটরসাইকেল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। দৈনিক ৩০০টিরও বেশি মোটরবাইক নামছে। সবমিলে বর্তমানে প্রায় ১১ লাখ মোটরবাইক চলছে। এ ছাড়া শুধু বাস নয়, অন্যান্য ফিটনেসবিহীন যানবাহনও দেশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যেমন দেশে মোট কাভার্ডভ্যানের সংখ্যা ৩২ হাজার ৭২টি। এর মধ্যে ছয় হাজার ৭৩২টির কোনো ফিটনেস নেই। ২৮ হাজার ১৯৩টি মিনি বাসের মধ্যে ১৬ হাজার ৪৯৭টির কোনো ফিটনেস নেই।

বিআরটিএ সূত্র আরো জানায়, সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি প্রতিরোধে এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আনফিট বা ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। সড়ক দুর্ঘটনার একটি অন্যতম কারণ যানবাহনের ফিটনেসহীনতা। সারা দেশে বাস, কাভার্ডভ্যান, মিনিবাস, ট্যাংকার ও ট্রাকের সংখ্যা দুই লাখ ৫০ হাজার ৮০৩টি। এর মধ্যে ৯৯ হাজার ৭৭৯টির ফিটনেস নেই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads