• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বৌলতলী ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বৌলতলী ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

  • গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুকান্ত বিশ্বাসকে জড়িয়ে ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জারে নানা অশালীন ও আপত্তিকর তথ্য ছড়িয়ে তার সুনাম ক্ষুণ্ন ও হেয় প্রতিপন্ন করার দায়ে বৌলতলী ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আবেদ উকিলকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন বৌলতলী ইউ.পি চেয়ারম্যান সুকান্ত বিশ্বাস।

শুক্রবার সকালে গোপালগঞ্জ থানা-পুলিশ চেয়ারম্যানের দাখিলকৃত অভিযোগটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এ মামলা রেকর্ড করে আবেদ উকিলকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠিয়েছে করেছে। মামলার অপর আসামী সদর উপজেলার গান্ধিয়াশুর গ্রামের সহাদেব বিশ্বাসের ছেলে পবিত্র বিশ্বাস পলাতক রয়েছে।

মামলার বাদী সদর উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, তারই ইউনিয়নের বাসিন্দা কলপুর গ্রামের জাহেদ উকিলের ছেলে বৌলতলী ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আবেদ উকিল ও গান্ধিয়াশুর গ্রামের সহাদেব বিশ্বাসের ছেলে পবিত্র বিশ্বাস তাকে জড়িয়ে ফেইজবুকের মেসেঞ্জারে নানা অশালীন ও আপত্তিকর তথ্য ছড়িয়ে তার সুনাম ক্ষুন্ন ও হেয় প্রতিপন্ন করেছে।

তিনি আরো জানান, আবেদ উকিলের অত্যাচারে অতিষ্ট কলপুর গ্রামের মানুষ। তার ভয়ে বৌলতলী-ঘোনাপাড়া সড়ক রাতের বেলা নিরাপদ নয়। আবেদ উকিলের ছত্রছায়ায় কলপুর, সুরগ্রাম, রাউৎপাড়া এলাকায় দীর্ঘবছর মাদক ব্যবসা ও জুয়ার আড্ডা চলে আসছে। বৌলতলী এলাকায় কুমার মধুমতি নদীতে মাছ ধরতে আসা জেলেদের কাছ থেকেও আবেদ উকিল নিয়মিত জোর পূর্বব চাঁদা আদায় করে থাকে। তার এসব কর্মকান্ডে বাধা দেওয়ায় সে আমার বিরুদ্ধে ফেইসবুক মেসেঞ্জারে নানা অশালীন ও আপত্তিকর তথ্য ছড়িয়ে তার সুনাম ক্ষুন্ন ও হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে।

গোপালগঞ্জ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেছেন, বৌলতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুকান্ত বিশ্বাসের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করে কলপুর গ্রামের আবেদ উকিল ও গান্ধিয়াশুর গ্রামের সহাদেব বিশ্বাসের ছেলে পবিত্র বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আবেদ উকিলকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামী পবিত্র বিশ্বাসকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads