• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
দশমিনায় জেলেদের মানবেতর জীবনযাপন

প্রতীকী ছবি

সারা দেশ

দশমিনায় জেলেদের মানবেতর জীবনযাপন

  • দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯

খাদ্য সহায়তা ও পূর্ণবাসনের বরাদ্ধের অভাবে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭ হাজারের অধিক জেলে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

ভুক্তভোগী একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলার উপকুলীয় অঞ্চলের জেলে তালিকাভূক্ত করার জন্য এলাকাবাসীদের কাছ থেকে আবেদনপত্র জমা নেয় উপজেলা মৎস্য অফিস কর্তৃপক্ষ। এলাকাবাসীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তার প্রতিনিধিদের উপস্থিতি জেলেদের নাম যাচাই বাছাই করে প্রায় ৭হাজার ৩৬৫জন জেলেদের নাম তালিকাভূক্ত করা হয়। ওই তালিকাভূক্ত জেলেদের মধ্যে ৩হাজার ৯৫৮জন জেলেকে খাদ্যশস্য সহায়তা প্রদান করলেও এ সুবিধা থেকে ৩হাজার ৩৩৯৮জন জেলে বঞ্চিত রয়েছে। ফলে উপজেলার সুবিধা বঞ্চিত জেলেরা মানবেতর জীবনযাপন করছে।

বাশঁবাড়িয়া ইউনিয়ন মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি মোঃ আঃ সালাম জানান, প্রতি বছর মৎস্য নিধন বন্ধের জন্য পৃথক পৃথক সময়ে রেড এলার্ট জারী করে। কিন্তু সরকার আমাদের বেচেঁ থাকার জন্য বিকল্প কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছেন না। মৎস্য অহরন চলাকালীন সময়ে আমাদের সংসার পরিচালনার জন্য আয়মূখী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেউ আর নদীতে মা ইলিশ ও জাটকা মৎস্য অহরন করবে না। ফলে দেশের মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধি পাবে। যা বিদেশে বিক্রি করে বিপুল পরিমানের রাজস্ব আয় করতে সক্ষম হবে।

উপজেলা মৎস্যজীবি প্রতিনিধি মোঃ নজরুল ইসলাম সিকদার জানান, আমরা প্রতিবারই সরকারের কাছে জেলেদেরকে পূর্ণবাসনের দাবী জানিয়ে আসছি। কিন্তু সরকার পূর্ণবাসনের বরাদ্ধও দিচ্ছে। কিন্তু খাদ্যশস্যও সঠিকভাবে প্রদান করা হচ্ছে না।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, পর্যাপ্ত বরাদ্ধের অভাবে তালিকাভূক্ত তথা কার্ডধারীদের জেলেদেরকে সহায়তা করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকার পর্যাপ্ত সহায়তা প্রদান করলে তা যথারীতি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাহাবুবুর রহমান তালুকদার জানান, প্রাপ্ত বরাদ্ধ সাপেক্ষে খাদ্যশস্য বিতরণ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads