• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
মুক্তিযোদ্ধার আবেদন উপেক্ষিত

মুক্তিযুদ্ধে দুই হাত ও দুই চোখ হারানো যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সহিদ চৌধুরী

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

মুক্তিযোদ্ধার আবেদন উপেক্ষিত

  • কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ ডিসেম্বর ২০১৯

দু’হাত, দু’চোখ হারানো দেশের য‍ুদ্ধাহত ৯জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে তিনি একজন। যিনি অন্যের সহযোগিতা ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না। বাকি ৮জন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সরকারি ফ্লাট ও দোকান পেলেও পাননি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সহিদ চৌধুরী। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস বলে ঢাকায় যাওয়া আসা দুষ্কর। ফ্লাট ও দোকান কোটার আবেদন কল্যাণ ট্রাস্ট সভায় তোলার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর আদেশ ২বছর থেকে উপেক্ষিত রয়েছে।

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা ৯৬ ভাগ পঙ্গু যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সহিদ চৌধুরী। ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারে একটি ফ্ল্যাট ও দোকান বরাদ্দের জন্য একটি লিখিত আবেদন করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৪ নভেম্বর তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি কল্যাণ ট্রাস্টের সভায় চিঠি পেশ করার জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) কে নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই নির্দেশের ২ বছর অতিবাহিত হলেও বিষয়টির কোন সুরাহা হয়নি।

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সহিদ চৌধুরী জানান, শতভাগ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফ্ল্যাট ও দোকান বরাদ্দের জন্য আশ্বাস দেওয়া হয়। তিনি ছাড়া বাকি ৮জন শতভাগ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা তাদের বরাদ্দ পেলেও শুধু তিনি রহস্যময় কারণে বাঁধ পড়েন। যদি মোহাম্মদপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সম্ভব না হলেও রাজউক ভবন থেকে অথবা অন্যত্র হলেও একটি ফ্লাট ও দোকান বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানান। সাহায্যকারী ছাড়া চলাচল সম্ভব হয়না বলে ঢাকায় গিয়ে তদবির করা সম্ভব হয় না। মানবিক দিক বিচার করে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীর নিকট এই দাবি জানান।

উল্লেখ্য ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে বার বার মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে কয়েকটি সাহসী অপারেশন পরিচালনা করে কয়েকটি ব্রীজ ধ্বংস করেন। ১৯৭১ সালের ১০ আগস্ট বড়পুঞ্জির ক্যাম্পের একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ক্যাপ্টেন আব্দুর রবের নির্দেশে ও সুবাদার কুতুবের নেতৃত্বে বড়লেখা উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নে একটি কঠিন অভিযান পরিচালনা করেন। নান্দুয়া ব্রীজের পাশে পাকিস্তানি শত্রুদের রাস্তায় চলাফেরা না করার জন্য মাটির নিচে স্থল মাইন পুঁতে রাখেন। মাইন পুতার সময় হঠাৎ একটি মাইন বিস্ফোরিত হয়। ঘটনাস্থলে দু’হাত হারান এবং দু’চোখ দগ্ধ হয় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সহিদ চৌধুরীর’।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads