• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
সখীপুরে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ঝুলছে দ্বন্দ্বের তালা!

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

সখীপুরে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ঝুলছে দ্বন্দ্বের তালা!

  • সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৪ জানুয়ারি ২০২০

টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের দ্বন্দ্বে দুইমাস ১১দিন ধরে সুুরিরচালা আবদুল হামিদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিনের কক্ষে তালা ঝুলছে। এতে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা চরম বিপাকে পড়েছে। দীর্ঘদিনেও দুইপক্ষের দ্বন্দ্ব মিমাংসা না হওয়ায় চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অপেক্ষা করছেন- কবে খুলবে এ দ্বন্দ্বের তালা!

মঙ্গলবার সরেজমিনে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, গত ৩ নভেম্বর বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভায় কফিল উদ্দিনকে অর্থ কেলেঙ্কারিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে সহকারী শিক্ষক নূরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। অন্যদিকে ১৯ নভেম্বর প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও ১০ সদস্যকে বিবাদী করে টাঙ্গাইল সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। এদিকে ৩০ ডিসেম্বর পরিচালনা পর্ষদ কফিল উদ্দিনকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করে। ৫ জানুয়ারি ওই চূড়ান্ত বরখাস্ত এবং পরিচালনা পর্ষদের ওপর অন্তর্বতীকালীন নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এছাড়া সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত প্রধান শিক্ষককে তার দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া এবং চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা থেকে পরিচালনা পর্ষদকে বিরত থাকতে বলা হয়। গত সোমবার আদালতের এ আদেশ পরিচালনা পর্ষদের কাছে পৌঁছে। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় প্রধান শিক্ষকের কক্ষটি তালাবদ্ধ রাখা হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের নির্দেশে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করছেন।

পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি তারিকুল ইসলাম বিদ্যুত বলেন, আদালতের আদেশ হাতে পাওয়ার আগেই কফিল উদ্দিনকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও আদেশের ব্যাপারে আপিল করা হবে।

কফিল উদ্দিন বলেন, আদালতের নির্দেশনা পেয়েও আমাকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হবে।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মফিজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ছুটিতে রয়েছি। এ কারণে আদালত কি নির্দেশনা দিয়েছেন সে বিষয়ে আমি অবগত নই। অফিসে ফিরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির দ্বন্দ্বের বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, যত অনিয়মের অভিযোগই করা হোকনা কেনো, মূলত একটি কেরানী নিয়োগকে কেন্দ্র করেই সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত হয়। পরে সেই বিরোধ এ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে প্রধান শিক্ষকের কক্ষের তালাটি উভয়পক্ষের সম্মতিতেই দেওয়া হয়েছে। বিরোধ মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত ওই তালা ঝুলবে বলেও স্থানীয়রা জানান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads