• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
স্ত্রী-শাশুড়িসহ চারজনকে কুপিয়ে হত্যা করে ঘাতকের আত্মহত্যা

মৌলভীবাজার ম্যাপ

প্রতীকী ছবি

সারা দেশ

স্ত্রী-শাশুড়িসহ চারজনকে কুপিয়ে হত্যা করে ঘাতকের আত্মহত্যা

  • প্রকাশিত ১৯ জানুয়ারি ২০২০

মৌলভীবাজারের বড়লেখার দূর্গম পাহাড়ী এলাকায় স্ত্রী-শাশুড়িসহ চারজনকে কুপিয়ে হত্যা করে ঘাতক নিজে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। ঘাতকের দা'য়ের কোপে মারাত্মক ভাবে আহত একজনকে আশংকা জনক অবস্হায় সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আজ রোববার (১৯ জানুয়ারী) ভোরে উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের দুর্গম এলাকা পাল্লাতল চা বাগানে এ ঘটনা ঘটে। চা শ্রমিক নির্মল কর্মকার (৩৮) শশুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

হত্যার শিকার চারজন হলেন নির্মলের স্ত্রী জলি বুনার্জী (৩১), শাশুড়ি লক্ষ্মী বুনার্জী (৬০) প্রতিবেশী বসন্ত ভৌমিক (৬০) বসন্তের মেয়ে শিউলি ভৌমিক (১৫)।

ঘাতক নির্মল প্রথমে তার স্ত্রীকে 'খাসিয়া দা' দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। মেয়েকে বাচাঁতে শাশুড়ি এগিয়ে এলে তাকে এলোপাথাড়ি কুপায়। চিৎকার শুনে দুই প্রতিবেশী এগিয়ে এলে তাদের কে কুপিয়ে জখম করে। ঘটনাস্থলে চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হলে খুনি ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে নির্মল নামে ওই যুবক চারজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। নির্মল ছাড়া চারজনই চা বাগানের শ্রমিক। এঘটনায় আহত কানন বক্তাকে আংশকা জনক অবস্তায় সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, নির্মলের বাড়ি এই এলাকায় নয়। ঘাতক নির্মল কর্মকার দেড়বছর আগে জলি বুনার্জীকে তার এক কন্যাসহ বিয়েকরে। তারপর থেকে সে শ্বশুর বাড়িতেই বসবাস করছিল।

খবর পেয়েজেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া সুলতানা, জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, পিবিআই, সিআইডির পৃথক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন বলেন, ঘাতক নির্মল কর্মকার দেড়বছর আগে জলি বুনার্জীকে বিয়েকরে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করে আসছিল। সে আমার বাগানের কোনো চা শ্রমিক না। এর আগে সে পাশ্ববর্তী আল্লাদাদ চা বাগানে ছিল।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম জানান পারিবারিক কলহের কারনে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত কারণ বেড়িয়ে আসবে।

লাশ উদ্বার করে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads