• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেলে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেলে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী

  • নরসিংদী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২০ জানুয়ারি ২০২০

নরসিংদীতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রী বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের দগরিয়া গ্রামে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাসলিমা আক্তার।

জানা যায়, দগরিয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ৭ম শ্রেণি পড়‍ুয়া নাবালিকা কন্যা জেমি আক্তারকে সাবালক দেখিয়ে কুষ্টিয়া জেলার কসবা এলাকার একাবর আলীর পুত্র সুজাত আলীর সাথে বিয়ের আয়োজন করা হয়। তারা চিনিশপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম নিবন্ধনে মেয়ের বয়স বাড়িয়ে বিয়ের আয়োজন করে। এই তথ্য স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানতে পেরে সোমবার দুপুরে পুলিশ নিয়ে বিয়েবাড়িতে উপস্থিত হন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাসলিমা আক্তার। তাদের দেখে মেয়ের মাসহ আত্বীয়রা বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে মেয়েটির এক বড় বোন, ভগ্নিপতি ও মা এসে ১৮ বছর আগে মেয়েকে বিয়ে দেবে না মর্মে লিখিত মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান। বয়স বাড়িয়ে জন্ম নিবন্ধন দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান ও সচিবকে ডেকে আনলে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাসলিমা আক্তার বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত বিয়েবাড়িতে উপস্থিত হয়ে ছাত্রীর বাল্য বিবাহ বন্ধ করি। ছাত্রীর মা ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেবে না বলে মুচলেকা দেয়ায় তাদের ক্ষমা করা হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দুজ্জামান, সদরের ভূমি কর্মকর্তা শাহআলম মিয়া, মহিলা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সেলিনা বেগম, চিনিশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামানসহ প্রমুখ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads