• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে হিলিবন্দরে নেই কোন ব্যবস্থা

ছবি : সংগৃহীত

সারা দেশ

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে হিলিবন্দরে নেই কোন ব্যবস্থা

  • দিনাজপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৬ জানুয়ারি ২০২০

চীনে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনা ভাইরাস। বাংলাদেশের সকল স্থল, নৌবন্দর ও বিমানবন্দরে সরকারের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হলে দেশের অন্যতম স্থলবন্দর দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দরে সতর্কতামূলক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই প্রতিদিন এই চেকপোস্ট দিয়ে চীনের পার্শবর্তী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান সহ অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে শত শত পাসপোর্টযাত্রী। এতে করে চীনের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে এই অঞ্চলের মানুষদের।

করোনা ভাইরাস ইতিমধ্যে চীনের ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। চীনে ইতিমধ্যে ১ হাজারের অধিক মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবং বহু নিহতের ঘটনা ঘটেছে। সরকার ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সকল স্থল, নৌ ও বিমান বন্দরে যাতায়াত করা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কোন যন্ত্রপাতি স্থাপন ও যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। এরই ব্যতিক্রম ঘটেছে দেশের অন্যতম স্থলবন্দর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে। এই বন্দরে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বসানো হয়নি কোন মেশিন। এমনকি বৈধ পাসপোর্টধারী যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয় না। ফলে এই অঞ্চলের মানুষদের ভয়াবহ আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ভারত থেকে দেশে আসা বেশ কয়েকজন পাসপোর্টযাত্রী জানান, চীনে রহস্যজনক একটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে এই কথা বিভিন্ন ভাবে শুনেছি। যেহেতু চীনের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ছাড়াও নেপাল ও ভুটান আছে। অনেক বাংলাদেশি হিলি চেকপোস্ট ব্যবহার করে ভারত হয়ে নেপাল ও ভুটানে ঘুরতে যাচ্ছে। তাই হিলি চেকপোস্টে সতর্কতামুলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রতাপ নন্দী জানান, হিলি চেকপোস্টের গুরুত্ব ভেবে এই আশঙ্কার কথা ইতোমধ্যে দিনাজপুর সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে। তিনি আবার দ্রুত ঢাকায় জানিয়েছেন। এব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা আসেনি। নির্দেশনা পেলে হিলি চেকপোস্টে মেডিকেল টিম গঠন করে থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে যাত্রীদের শারীরিক স্ক্রিনিং (পরীক্ষা) করা হবে। তবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে চীন থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিংয়ে এই ধরণের কোনো নমুনা পাওয়া যায়নি। এ জন্য আমরা এখনো পর্যন্ত স্বস্তিতে আছি।

তিনি আরও জানান, করোনা ভাইরাস শ্বাসতন্ত্র রোগ। প্রধান লক্ষণ জ্বর। এর সঙ্গে সর্দি, কাশি, গলাব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ থাকে। এই ভাইরাসের সঙ্গে প্রাণঘাতী রোগ সিভিয়ার অ্যাকুইট রেসপিরেটরি সিনড্রোমের (সার্স) মিল রয়েছে। শ্বাসতন্ত্রের অসুখ হাঁচি-কাশি একজন থেকে অপরজনে সংক্রমিত হতে পারে। এই ভাইরাস যদি একজন থেকে অপরজনের মধ্যে ছড়ায় তাহলে অতি দ্রুত সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে।

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুজ্জামান জানান, প্রতিদিন এই চেকপোস্ট দিয়ে ৩ শতাধিক যাত্রী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বৈধ পাসপোর্ট দিয়ে যাওয়া-আসা করেন। এদের অনেকে ভারত হয়ে নেপাল ও ভুটানেও ঘুরতে যান। এসব দেশ আবার চীনের পার্শবর্তী। শুনেছি চীনে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এই ভাইরাস প্রতিরোধে হিলি চেকপোস্ট এলাকায় এখনো পর্যন্ত মেডিকেল টিম স্থাপন করা হয়নি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads