• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
সলঙ্গা বিদ্রোহ দিবস আজ

ফাইল ছবি

সারা দেশ

সলঙ্গা বিদ্রোহ দিবস আজ

  • সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৭ জানুয়ারি ২০২০

আজ ২৭ জানুয়ারি ঐতিহাসিক সলঙ্গা বিদ্রোহ দিবস। ১৯২২ সালের এদিনে ব্রিটিশ সরকারের লেলিয়ে দেওয়া পুলিশ বাহিনীর গুলিতে সলঙ্গার হাটে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বিলেতি পণ্য বর্জন আন্দোলনের কর্মীসহ সাধারণ জনতা শহীদ হয়। ব্রিটিশ শাসনামলে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী অসহযোগ আন্দোলন ও খেলাফত আন্দোলনে জনতা উদ্বেলিত হয়ে বিলেতি পণ্য বর্জন করে স্বদেশী পণ্য ব্যবহারের সংগ্রাম শুরু করেছিল। এমনি একটি আন্দোলনের ঢেউ এসে আঁছড়ে পড়ে সলঙ্গায়। সে সময় তৎকালীন পাবনা জেলার ও বর্তমান সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গায় একটি ব্যবসায়িক জনপদ হিসেবে সপ্তাহে দুই দিন হাট বসত। ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার ছিল বড় হাটবার। মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশের নেতৃত্বে অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনের কর্মীরা হাটে নামে বিলেতি পণ্য কেনাবেচা বন্ধ করতে। আর এ স্বদেশী আন্দোলনের কর্মীদের রুখতে ছুটে আসে পাবনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরএনদাস জেলা পুলিশ সুপার ও সিরাজগঞ্জ মহকুমা প্রাসাশক এস কে সিনহাসহ ৪০ জন সশস্ত্র লাল পাগড়িওয়ালা পুলিশ। সলঙ্গার গোহাটায় ছিল বিপ্লবী স্বদেশী কর্মীদের অফিস। পুলিশ কংগ্রেস অফিস ঘেরাওপূর্বক গ্রেপ্তার করে মাওলানা আবদুর রশিদকে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে মুক্ত করতে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিদ্রোহে ফেটে পড়ে সলঙ্গার সংগ্রামী জনতা। জনতার ঢল ও আক্রোশ দেখে ম্যাজিস্ট্রেট জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য গুলি চালাতে নির্দেশ দেয়। শুরু হয়ে যায় বুলেট বৃষ্টি। এ হত্যাকাণ্ডে হতাহতের সরকারি সংখ্যা সাড়ে ৪ হাজার দেখানো হলেও বেসরকারি মতে, ১০ হাজারেরও অধিক।

দিবসটি পালন উপলক্ষে মাওলানা আবদুর তর্কবাগীশ পাঠাগার ও সলঙ্গা সমাজকল্যাণ সমিতি তিন দিনব্যাপি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সরকারি বেগম নূরুন নাহার তর্কবাগীশ অনার্স কলেজ, তর্কবাগীশ মহিলা মাদরাসা, তর্কবাগীশ উচ্চবিদ্যালয়, বিদ্রোহী সলঙ্গা ও সলঙ্গা ফোরাম পৃথক পৃথকভাবে আলোচনা সভা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, র্যালি ও পুরস্কার বিতরণ করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads