• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
জ্বরে ১৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এক পরিবারের দু'জনের মৃত্যু

মুন্সীগঞ্জ ম্যাপ

সারা দেশ

জ্বরে ১৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এক পরিবারের দু'জনের মৃত্যু

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৭ জানুয়ারি ২০২০

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার যশলদিয়া গ্রামে আকস্মিক জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১৮ ঘণ্টার ব্যবধানে একই পরিবারের দু'জন মারা গেছেন। তারা হলেন- যশলদিয়া গ্রামের মীর জুয়েল মিয়ার স্ত্রী শামীমা বেগম ও তার ভাসুর মীর সোহেলের ৩ বছর বয়সী শিশুসন্তান আব্দুর রহমান।

রোববার রাত ২টার দিকে শামীমার মৃত্যু হয়। এর আগে ওই দিন সকাল ৮টায় মারা যায় আব্দুর রহমান। করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে ওই দু'জনের মৃত্যু হয়েছে বলে এরপর খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে যশলদিয়া গ্রামসহ রৌহজংয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মানুষজন ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

খবর পেয়ে লৌহজং উপজেলার ইউএনও রাশেদুজ্জামান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শামীম আহমেদসহ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ওই দু'জনের মরদেহ পরীক্ষা করে তারা বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে তাদের মৃত্যুর খবর সঠিক নয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এরপরও পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে মেডিকেল টিম। ওই নমুনা আইসিআরডিতে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পরই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সুমন বনিক।

যশলদিয়া গ্রামের মীর শিবলী জানান, রোববার রাতে আকস্মিকভাবে জ্বরে আক্রান্ত হন তার বড় ভাই মীর সোহেলের স্ত্রী শামীমা বেগম। ধীরে ধীরে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে এবং তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল লাল র‌্যাশ ওঠে। এর এক ঘণ্টা পরই তিনি মারা যান।

শিবলী আরও জানান, এর আগে তার মেঝো ভাই মীর সোহেলের শিশুসন্তান আব্দুর রহমান আকস্মিক জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রোববার সকাল ৮টার দিকে মারা যায়। জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পরপরই আব্দুর রহমানের শরীরেও লাল লাল র‌্যাশ উঠে। এরপর শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে সে মারা যায়।

লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শামীম আহমেদ বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। এ দু'জনের মৃত্যুর কারণ পরীক্ষা-নীরিক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব নয়। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে যশলদিয়া গ্রামের ওই বাড়িতে মেডিকেল টিম গিয়েছিল। তারা তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিলের পরই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

জানতে চাইলে মুন্সীগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সুমন বনিক জানান, একই পরিবারের দু'জনের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মেডিকেল টিম পাঠানো হয়। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে কাজ চলছে। নমুনা সংগ্রহ করে আইসিআরডিতে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads