• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
নরসিংদীতে আ‘লীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৭

মাধবদীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আ.লীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষে ৫ ন টেটাবিদ্ধসহ ৭ জন আহত হয়।

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

নরসিংদীতে আ‘লীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৭

  • নরসিংদী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৮ জানুয়ারি ২০২০

নরসিংদীর মাধবদীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষে ৫ টেটাঁবিদ্ধসহ ৭ জন আহত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে মাধবদীর পাইকাচর ইউনিয়নের বালাপুরে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, মাধবদীর পাইকারচর ইউনিয়নের বালাপুর গ্রামের নূরুল বক্সের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৫), পাইকারচর গ্রামের রুপ মিয়ার ছেলে রমজান আলী (৪০), মৃত মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে জুলহাস মিয়া (৫৫), মৃত আমির আলীর ছেলে হোসেন মিয়া (৩০), পাঁচআলী পাড়ার জমির আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩১), নজরুল ইসলামের ছেলে রাসেল (১৫) এবং শহিদুল্লাহর ছেলে মোমেন (৩২)। এদের মধ্যে আশঙ্খাজনক অবস্থায় হোসেন মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

থানা পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুরে পাইকারচর ইউনিয়নের বালাপুর নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে পাইকারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল হাশেমের সমর্থক রাসেলকে মারধোর করে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেনের সমর্থক সোহাগ। এরই জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে বালাপুর স্কুলের সামনে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র ও টেটাঁ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ৫ টেটাঁবিদ্ধসহ ৭ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হোসেন মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

পাইকারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাশেম বলেন, শওকতের লোকেরা গতকাল আমার সমর্থককে মারধোর করেছে। তারা আজকে প্রথমে আমার লোকজনের উপর হামলা করেছে। পরে তারা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে হামলা চালিয়ে অফিসের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পাইকারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেন বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও টেটাঁ নিয়ে আমার বাড়িতে ও কারখানায় হামলা চালিয়েছে। এসময় তাদের টেটাঁয় আমার সমর্থক আনোয়ার ও রাসেল টেটাঁবিদ্ধ হয়েছে। আর ইউনিয়ন পরিষদে আমি কোন হামলা চালায় নি। এসব চেয়ারম্যান নিজেই করে আমার নামে অপবাদ দিচ্ছে।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো: সাফায়াত হোসেন পলাশ বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। এ ব্যাপারে এখনো থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ দায়ের করা হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads