• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

সারা দেশ

সেতু ভেঙ্গে খালে পড়ে নিখোঁজের ৭২ ঘন্টা পর শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার

  • কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মধুখালীতে বালুবাহী ট্রলিসহ আয়রণ সেতু ভেঙ্গে খালে পড়ে নিখোঁজ বালু টানা শ্রমিক আনেস প্যাদার মরদেহ উদ্ধার করেছে গ্রামবাসী।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভেঙ্গে পড়া সেতু সংলগ্ন প্রায় দেড়শ মিটার দূরে মেলাপাড়া গ্রামের খালে তার মরদেহ স্থানীয়রা ভাসতে দেখে কলাপাড়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

মিঠাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান কাজী হেমায়েত উদ্দিন হিরন জানান, গত মঙ্গলবার রাতে সেতু দিয়ে বালুবাহী সিমেন্টবাহী ট্রলিটি মধুখালী থেকে সেতু পার হয়ে মেলাপাড়া হয়ে বারিয়াতলী আসার পথে আয়রণ সেতুটি ভেঙ্গে নিচে খালে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক ট্রলিতে থাকা চার শ্রমিককে স্থানীয়রা উদ্ধার করলেও নিখোঁজ থাকে আনেস প্যাদা।

কলাপাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, সেতু ভাঙ্গার খবর পেয়েই ওইদিন রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে। বুধবার সকালে বরিশাল থেকে ফায়ারা সার্ভিসের ডুবুরিরা ভেঙ্গে পড়া সেতু কয়েকশ মিটার এলাকা সার্চ করলেও তার সন্ধান পায়নি। বৃহস্পতিবার দুপুরে খালে ভেঙ্গে পড়া সেতু সিমেন্টের স্লাব বেকু মেশিন দিয়ে ওঠানো হয় কিন্তু আনেসকে পাওয়া যায়নি। তাদের ধারণা, সিমেন্টের স্লাবের নিচে চাপা পড়ে থাকায় স্লাব উঠাতে গিয়ে সে হয়তো খালে জোয়ারের স্রোতে ভেসে গেছে এবং সন্ধায় ভাটার টানে খালের তীরে বনে পানির স্তর কমে যাওয়ায় আটকা পড়ে। উদ্ধার হওয়া আনেসের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী প্রেরণ করা হয়েছে এবং কেন কী কারণে এ দূর্ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গ্রামবাসীরা জানান, সাপুড়িয়া খালের আয়রণ সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে নিচের লোহার এঙ্গেল ভেঙ্গে একদিকে কাত হয়ে পড়েছিলো। এ সেতুর পাশেই আরেকটি সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হলেও বিকল্প চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয়রা চলাচল করছিলো। সেতু ভেঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটার আশংকায় সেতু দিয়ে যাতে কোন যান চলাচল না করতে পারে এজন্য গ্রামবাসী সেতুর মাঝ দিয়ে আটকে দিয়েছিলো। কিন্তু ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল ও ভ্যান চালকরা সবার অগোচরে সেই সেতু দিয়ে চলাচল করতে থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads