সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় প্রকাশ্য দরবারে জোরপূর্বক চুরির দায় চাপিয়ে দেওয়ার অপবাদ সইতে না পেরে রিপন (২৫) ওরুফে কালা মিয়া নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
নিহত রিপন উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের ঘিরইল গ্রামের ফজল হকের ছেলে।
আজ শনিবার ভোরে নিহতের বাড়ীর পাশের ষানবাড়ী গ্রামের সামনে একটি বরুন গাছের ডালের সঙ্গে গলায় রশি বাঁধা অবস্থায় রিপনের লাশ ঝুুুলে থাকতে দেখে স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন মাস পূূূর্বে জয়শ্রী ইউনিয়নের বানারসিপুর গ্রামের বাসিন্দা লিটনের এর বাড়ী থেকে একটি পাওয়ার পাম্প মেশিন চুুরি হয়। রিপন একই গ্রামের আইয়ুুব আলীর বাড়িতে ছয় মাসের হিসেবে চুুক্তিবদ্ধ হয়ে কৃৃষি কাজ করে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারী বুুধবার পাওয়ার পাম্পটি নিহতের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পাওয়ার পাম্পের মালিক লিটন। এর দুুদিন পর ২১ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় ১০/১২ জন মাতব্বর উপস্থিত হয়ে কুুদ্দুছ মিয়ার সভাপতিত্বে ষানবাড়ী বাজারে এক শালিশে রিপনকে ও তার পিতা ফজল হককে ডেকে নিয়ে পাওয়ার পাম্প চুুরির দায় চাপিয়ে দিয়ে নগদ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং গলায় জুুতারমালা পড়িয়ে বাজারে ঘুরানো হয়। ওই দিন রাতে ও প্রতিদিনের মতো মালিক আইয়ুব আলীর বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল রিপন। ভোরে একটি বরুন গাছের ডালে তার লাশ ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর ধারনা চুরির অপবাদ সইতে না পেরে সে ওই দিন রাতে আত্মহত্যা করেছে।
এ বিষয়ে নিহত রিপনের পিতা ফজল হক বলেন, মিথ্যা চুরির অভিযোগ তুলে রিপনকে দরবারে জরিমানা করা হয়েছে। এবং গলায় জুতা বেঁধে ঘুরানো হয়েছে। পরে রাতে আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে।
এস আই হাবিবুর রহমান বলেন, নিহতের লাশ সুরতহাল করার সময় আত্মহত্যার প্রমান পাওয়া গেছে। তবে প্রকাশ্য দরবারে নিহত রিপনকে ও নিহতের পিতা ফজল হককে জুতা গলায় দিয়ে অপমান করাসহ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ধর্মপাশা থানার অফিসার ইনচার্জ এজাজুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।