• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
ইন্দুরকানীতে ডিসিআরকৃত জমির বসতবাড়ী ও দোকান ঘর উচ্ছেদ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

ইন্দুরকানীতে ডিসিআরকৃত জমির বসতবাড়ী ও দোকান ঘর উচ্ছেদ

  • ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ইন্দুরকানীতে ডিসিআরকৃত জমির বসতবাড়ী ও দোকানঘর উচ্ছেদ করা হলেও ভাঙ্গা হয়নি মন্দিরের পাকা ভবন।

আজ রোববার উপজেলা সদর ইন্দুরকানী বাজারে পাকা ২টি বসতবাড়ী, ৪টি দোকান ঘর এ উচ্ছেদ করা হয়। এ উচ্ছেদ অভিযানে প্রায় ১ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারহা উর রহমান ও অশোক চাকমা। ইন্দুরকানী বাজারে দ্বিতলা বসতবাড়ীর মালিক আবুল কালাম ও মুজিবুর রহমান কাজী বাজার ব্যবসায়ী মোবারেক আলী, আলমগীর কাজী, ইলিয়াছ কাজী, ছত্তার কাজী ও ইউনুস কাজী এদের দোকান ঘর ভেঙ্গে ফেলা হয়।

অফিস সুত্রে জানা যায়, ইন্দুরকানী বাজারে নির্ধারিত জায়গায় এ্যাসিল্যান্ড ও ইউনিয়ন ভ‍ূমি অফিস করায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার পূর্বে তাদেরকে সরকারি জমির উপর স্থায়ী স্থাপনা সরানোর জন্য নোটিশ করা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানায়, আমরা ডিসিআর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা বাণিজ্য করি । ২০/০২/২০২০ ইং তারিখে আমাদের অফিস থেকে নোটিশ দেওয়া হয় । ৩দিনের মাথায় আমাদের স্থাপনা ও মালামাল ভেঙ্গে ফেলা হয়। আমরা কিছুই সরাতে পারি নাই। একই স্থানের থাকা মন্দিরে কোন কাগজপত্র নাই শুধু মাত্র একটি দরখাস্ত দিয়ে তারা পাকা ভবন করে মন্দিরে কার্যক্রম চালাচ্ছেন। কিন্তু তাদের প্রতিষ্ঠানটি না ভেঙ্গে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতঘর ভেঙ্গে দিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজন জানান, ইউনিয়ন ভুমি অফিসের ৫০গজ দুরে দ্বিতলা বসতঘরটি নির্মানের সময় বসতঘর সংলগ্ন ভূমি অফিস থেকে কোন বাধা দেওয়া হয়নি। স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি জন্য ভুমি অফিসের কর্মকর্তারাই দায়ী।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার চাকমা জানান, সরকারি জমিতে অবৈধ ভাবে বসতঘর ও দোকান ঘর স্থাপন করা হয়েছে তাহা উচ্ছেদ করার জন্যই এ অভিযান। এই জমি উপজেলা ভুমি অফিস ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস করার জন্য নির্ধারন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads