• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
বুড়িগঙ্গার তীর দখলকারী অবৈধ ৫১ স্থাপনা উচ্ছেদ

বুড়িগঙ্গার তীর দখলকারী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

বুড়িগঙ্গার তীর দখলকারী অবৈধ ৫১ স্থাপনা উচ্ছেদ

  • কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বুড়িগঙ্গা নদীকে দূষণমুক্ত করতে চলমান অভিযানের দ্বিতীয় পর্বের বিশেষ অভিযানের ১১তম কার্যদিবস। এ সময় তীর দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ ৫১ টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ।

আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পোস্তাগোলা (চীন মৈত্রি১ম সেতু) হাসনাবাদ থেকে পানগাঁও পর্যন্ত দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের প্রান্তে বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্বদেন উপসচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাবিবুর রহমান হাকিম।

অভিযানে উচ্ছেদ করা স্থাপনার মধ্যে আছে পাকা একতলা ভবন ০৬ টি, আধাপাকা ভবন ০৫টি, পাকা দেয়াল ০৫টি, টিনের ঘর ২৫টি, দেশিয় ড্রেজারের লোহার পাইপ লাইন ১০টি (২হাজার রানিং ফুট), এছাড়া নদীর যায়গা দখলকরে ব্যবসা পরিচালনার করায় বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়।পরে তা নিলামে ২১লক্ষ ৪৫হাজার টাকায় বিক্রি করা হয় এবং সরকারি জায়গা দখল করার অপরাধে ৭ জনকে ১লক্ষ ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে ৩.৫ একর জমি উদ্ধার করা হয়। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইটের গদির শ্রমিক জানান,এলাকার নামিদামি লোকজন এগদিগুলো চালায় বলে ছোট ব্যবসায়িরা কথা বলার সাহস পেতনা এবং কেউ কথাও বলতোনা তারা এতোদিন সরকারি জায়গা ভাড়া দিয়েছেন আমাদের জানাছিল না। আজ তারা কোথায়। তবে এলাকাবাসী এ উচ্ছেদ পরিচালনায় তেমন প্রতিক্রিয়া দেখাননি।

নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হবিবুর রহমান হাকিম বলেন,উচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ঢাকার চারপাশের এলাকাসহ বুড়িগঙ্গা নদীর তীওে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ পরিচালিত হচ্ছে।উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না । নদীর জায়গা দখলকারী যতই প্রভাবশালী হোক না কেন , অভিযানের মাধ্যমে তা উদ্ধার করা হবে।

বিআইডব্লিউটিএ ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ন পরিচালক ও দনী বন্দও নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা এ কে এম আরিফ উদ্দিন বলেন,বুড়িগঙ্গাকে দখলমুক্ত চলমান উচ্ছেদ অভিযানের ১১তম দিবস এর বিশেষ দ্বিতীয় পর্ব অভিযান চলছে পোস্তাগোলার নীচ থেকে অভিযান পরিচালনা করে ৫১ টি স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়েছি। অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে ৩.৫ একর জমি উদ্ধার করেছি। তিনি বলেন, আমার ১ বছরের অজ্ঞিতায় দেখছি ঢাকার চার পাশের নদ নদী গুলো দখল মুক্ত করে একটি পরিছন্ন প্রবাহমান একটা সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলতে তাহলে সরকার ও বিআইডব্লিউটিএর একা সম্বব নয়, সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে। যেমন জেলা প্রশাসক,পুলিশ প্রশাসন, থানা প্রশাসন ,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পানিউন্নয়ন বোর্ড, ওয়াসা,সিটিকর্পোরেশন,জনগনের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। আমরা যদি নদীকে মায়ের মত ভালবাসি তাহলে এনদী রক্ষা করা সকলের কাছে সম্ভব।তিনি আরো বলেন, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারী পানগাও থেকে কেরানীগঞ্জের পাশে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads