• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
পূর্বধলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস, সেবার নামে ভোগান্তি

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

পূর্বধলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস, সেবার নামে ভোগান্তি

  • পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

নেত্রকোণার পূর্বধলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে সেবার নামে চলছে চরম ভোগান্তি। দিনের পর দিন সাধারণ মানুষেরা প্রাপ্ত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমি রেজিস্ট্রি করতে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন ক্রেতা বিক্রেতারা। মূল দলিল সংগ্রহ করতে সময় লেগে যাচ্ছে ৫ থেকে ৬ বছর।

নকল দলিল সংগ্রহ করতে নির্ধারিত সরকারি ফি ৭০৫ টাকা থাকলেও নেয়া হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। বলাম/ভলিয়ম বহি সংকটের অজুহাতে নকল দলিল প্রদান করা বেশি হচ্ছে।

এই অভিযোগে গত দুইদিন ধরে সরেজমিনে সাব রেজিস্ট্রার অফিসে ঘুরে ঘুরে দেখা যায় নানান অনিয়মের চিত্র। এমনটাই জানালেন সাধারণ জমি ক্রয়-বিক্রেতারা। তারা অসুখ-বিসুখে, মেয়ের বিয়েতে ও ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর জন্য জমি-জমা বিক্রি করলে তা সঠিক সময় দলিল রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন না। দুই মাস ধরে নিয়মিত সাব-রেজিস্ট্রার থাকছেন না।

সাব-রেজিস্ট্রি অফিসার নাফিসা নাওয়ার দুই মাস ধরে ছুটিতে আছেন। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন খালিয়াজুড়ি উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসার আজমল হোসেন। তিনি পূর্বধলায় সপ্তাহে মাত্র ২ দিন অফিস করেন। স্থায়ী সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় তাদের দলিল রেজিস্ট্রেশনসহ অন্যান্য প্রতিদিনের কাজ করতে দারুণ ব্যাঘাত হচ্ছে।

ভুক্তভোগী অধ্যাপক মাফিজ উদ্দিন, অধ্যক্ষ শফিকুজ্জমান, মো. তরিকুল ইসলাম, মাও. আবুল হাসিম জানান, গত ৫/৭ বছর ধরে মূল দলিলের হদিসই পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও ৯০ দিনের মধ্যে গ্রাহকের নিকট মূল দলিল হস্তারের বিধান রয়েছে। রেজিস্ট্রেশন আইন ১৯০৮ এর (৫২) ধারায় রশিদ পেয়েছি কিন্তু এখনো মূল দলিল পাইনি।

বিধান অনুযায়ী, মূল দলিল হস্তান্তরের আগে নোটিশ দিয়ে জানানোর কথা রয়েছে। পূর্বধলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এসব নিয়মনীতি মানা হচ্ছেনা।

দলিল লেখক ও দলিল রেজিস্ট্রি করতে আসা সাধারণ জনগণের দাবী যতদ্রুত সম্ভব এ অফিসে একজন স্থায়ী সাব রেজিস্ট্রার ব্যবস্থা করা হোক। আমরা একজন নিয়মিত সাব-রেজিস্ট্রার ও সেবার মান নিশ্চিত করা চাই।

জেলা সাব-রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা খন্দকার জামিলুর রহমান মুঠোফোনে জানান, পূর্বধলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সেবা থেকে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির বিষয়টি আমি জানি না। তবে বালাম/ভলিয়ম বহি সংকটের বিষয়টি আমি জানি।

সহকারি কমিশনার (ভূমি) না থাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে কুলসুম বলেন, জমির দলিল নিতে এত সময় লাগে সেটা আমার জানা নেই। অভিযোগের বিষয়টি দ্রুত সমাধান করে আইনানুযায়ি গ্রাহকের সব ধরণের সেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। যাতে জমি ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ভোগান্তি দূর হয়।

এই প্রসংগে সাব-রেজিস্ট্রার আজমল হোসেনকে তার মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।

দলিল লেখক সমিতির সভাপতি প্রদীপ চন্দ্র চন্দ বলেন, ৩ মাস কেন ৩ বছরেও নিয়মানুযায়ি মূল দলিল পায় কিনা আমার জানা নেই। দলিল লেখন আব্দুল মান্নান জানান, নির্দিষ্ট সময়ে কেউ মূল দলিল পায় না।

অফিস সহকারীর সৈয়দ হাফিজুর রহমান ও সকল নবিস সুজন জানান, বালাম/ভলিয়ম বহি সংকটের কারণে মূল দলিল জমি ক্রেতাদের কাছে হস্তান্তর করতে ২/৩ বছর সময় লেগে যায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads