মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে চিত্তবিনোদন ভাতা (Recreation Allownce) তুলতে গিয়ে অফিসের কতিপয় কর্মচারীদের অতিরিক্ত অর্থ দিতে বাধ্য হয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অন্তত ২৯ জন স্বাস্থ্য সহকারী ও সহকারী পরিদর্শকের কাছ থেকে ৮৯০ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এ অর্থ আদায়ের সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (প্রশাসন) প্রধান সহকারী মো. ইয়াদ আলীসহ আরো তিনজনের জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিন বছর অন্তর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিত্তবিনোদন ভাতা প্রদানের বিধান রয়েছে এবং এটি করমুক্ত। অথচ এ চিত্তবিনোদন ভাতা তুলতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন উপজেলার স্বাস্থ্যকর্মীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বাস্থ্যসহকারী জানান, আমার চিত্তবিনোদন ভাতা পাওয়ার কথা ছিল ১৩ হাজার ৭৯০ টাকা। কিন্তু সেখান থেকে ৮৯০ টাকা কেটে রেখে আমাকে দেওয়া হয়েছে ১২ হাজার ৯০০ টাকা।
তিনি আরো বলেন, এ টাকা কেটে রাখার কারণ জানতে চাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ইয়াদ আলী জানান, চিত্তবিনোদন ভাতার বিল পাশ করাতে অনেক টাকা লেগেছে এবং একাউন্ট (এজি) অফিসকে জনপ্রতি দুই’শত টাকা করে দিতে হয়েছে।
আরেক ভুক্তভোগী জানান, অফিসে অতিরিক্ত অর্থ না দিয়ে কেউই ভাতা তুলতে পারেননি। আমার পাওয়ার কথা ছিল ২০ হাজার ৮০০ টাকা, কিন্তু আমি পেয়েছি ১৯ হাজার ৫৫০ টাকা। বাকি ১ হাজার ২৫০ টাকা বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে কেটে রাখা হয়।
আরেক স্বাস্থ্য সহকারী জানান, স্বাস্থ্য সহকারী ও সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ছাড়াও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা চিত্তবিনোদন ভাতা তুলতে গিয়ে অতিরিক্ত অর্থ দিতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু তারা ভয়ে মুখ খুলছেন না।
প্রধান সহকারী মো. ইয়াদ আলী অতিরিক্ত অর্থ আদায় সম্পর্কে বাংলাদেশের খবরকে বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। এ বিষয়ে পরিসংখ্যানবিদ সাহেবের সাথে কথা বলেন। তিনি আপনাকে এ বিষয়ে সব তথ্য দিতে পারবেন।
এ বিষয়ে পরিসংখ্যানবিদ আবদুল কাদের মুখ খুলতে না চাইলেও তিনি বলেন, এ বিষয়ে ফোনে কথা না বলে সরাসরি কথা বললে ভালো হয়। তবে এ বিষয়ে অথরিটি অবগত আছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামিম আহমেদ বাংলাদেশের খবরকে জানান, আমি যতটুকু জানি সবাই ভাতা ভালো মতোই পেয়েছে। অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার বিষয়টি আমি জানি না। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি।