• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
কুলাউড়া মাদরাসা শিক্ষকদের মধ্যে সংঘর্ষ: আহত ৩

কুলাউড়া ম্যাপ

সারা দেশ

কুলাউড়া মাদরাসা শিক্ষকদের মধ্যে সংঘর্ষ: আহত ৩

  • কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৪ মার্চ ২০২০

কুলাউড়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের জালালিয়া দাখিল মাদরাসা সুপারকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। হুমকির ঘটনায় ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সুপার মো. আব্দুশ শহীদ শনিবার ১৪ মার্চ কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। এদিকে মাদরাসার সামনে মানববন্ধন করা অবস্থায় শিক্ষকরা দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩ জন আহত হয়েছেন

জানা যায়, জালালীয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মো. আব্দুশ শহীদ গত ১১ জানুয়ারি থেকে ২ মাসের বা তার অধিক সময় চিকিৎসার জন্য অর্জিত ছুটিতে যান। ০৯ জানুয়ারি মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্ধারিত ছুটি মঞ্জুর করেন। ছুটি ভোগের পর শনিবার ১৪ মার্চ সুপার মো. আব্দুশ শহীদ দায়িত্বে যোগদান করতে যাওয়ার আগে একটি গ্রুপ তাকে যোগদান করলে খুন জখম করা হুমকি দেয়। বিষয়টি সুপার কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করেন। ইউএনও’র নির্দেশে সুপার এ বিষয়ে কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

এদিকে কিছু শিক্ষক ও এলাকার মানুষ সুপারকে মাদরাসায় যোগদান যাতে না করেন সেজন্য শনিবার সকাল ১১ টায় মাদরাসার সম্মুখে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেয়। এনিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয় এবং তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে অফিস সহকারি আলাউদ্দিন ও সহকারি মাওলানা আব্দুস সামাদ ও প্রতিপক্ষ সহ-সুপার মাওলানা মুজিবুর রহমান আহত হন। সংঘর্ষের সময় হামলাকারিরা অফিস সহকারি আলাউদ্দিনের মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করলে সাইকেলটি পুড়ে যায়।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী ও থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান ঘটনাস্থলে যান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

জালালীয় দাখিল মাদরাসা সুপার মো. আব্দুশ শহীদ জানান, আমি ছুটি থেকে ফিরে যোগদান করার আগে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির খবর পেয়ে বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানাই। উনার নিদের্শে থানায় জিডি করে মাদারাসায় যোগদান করতে যাওয়ার আগেই খবর পাই মাদরাসায় দু’পক্ষে মারামারি হয়েছে। ঘটনার সময় তিনি থানায় অবস্থান করছিলেন। এর বেশি তিনি কিছু জানে না।

এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, বর্তমানে মাদরাসার পরিস্থিতি শান্ত আছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ২-১ দিনের মধ্যে বিষয়টি সুরাহা হবে। তবে আগামীকাল রোববার থেকে মাদরাসার ক্লাস চলবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads